ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সেতুর অভাবে দুর্ভোগে খাগড়াছড়ির ১৭ পাড়ার বাসিন্দারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
সেতুর অভাবে দুর্ভোগে খাগড়াছড়ির ১৭ পাড়ার বাসিন্দারা

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের খরস্রোতা গোমতি খালের ওপর একটি সেতু নিমার্ণের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খালের ওপারের ১৭ পাড়ার বাসিন্দাদের। এসব পাড়ার মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ফলে দুর্ভোগ নিয়েই খাল পারাপার হন শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীসহ এলাকার শতশত মানুষ।

এ ইউনিয়নের অন্তর্গত নয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রশ্চাদপদ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামের জীবনযাত্রা খুবই নাজুক। বড়পাড়া, কেশব মহাজনপাড়া, সাজেক পাড়া, নতুন পাড়া, কুকিপাড়া, রাস্তা হাদুক, আমলা হাদুকসহ অন্তত ১৭টি পাড়ার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম গোমতি খাল।

গোমতি বাজার ও খাগড়াছড়ির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গোমতি খাল অতিক্রম করেই যেতে হয়। খালের ওপর সেতু না থাকায় এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ সংকটে পড়েন। গত ১১ বছর আগে খালের ওপর দুটি পিলার তৈরি করলেও সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করেনি। এটি কোন কর্তৃপক্ষ করেছে, তাও কেউ জানাতে পারেননি স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা আথুসি মারমা বলেন, একটি সেতুর অভাবে আমরা কি পরিমাণ কষ্টে আছি বোঝাতে পারবো না। বর্ষাকালেতো শহরে যাতায়াত করা যায় না। আর এখানে কৃষিপণ্য বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। সরকার আসে, সরকার যায় কিন্তু আমাদের ভাগ্য বদলায়না।

অপর বাসিন্দা গুরু রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, স্বাধীনতার এত বছরেও গোমতির এসব গ্রামের মানুষের দুঃখ লাগবে একটি সেতু নির্মিত হয়নি। সন্তানদের স্কুলে যাতায়াত থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এলাকার উৎপাদিত মালামাল বেচাকেনার জন্য বাজারে নিয়ে যেতে কষ্ট হয়। পাহাড়ে উৎপাদিত কলা, ধান, শাক-সবজি মাথায় ও কাঁধে বহন করে নিয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও গর্ভবর্তী মা ও শিশুর যাতায়াত এবং অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও কষ্টের সীমা থাকে না।

এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করা হবে।

শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়রা কোনো রকমে খাল পার হলেও বর্ষায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে গোমতির পিছিয়ে থাকা এসব এলাকাগুলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়ে সেতুটি নির্মাণ করবে বলে আশাবাদী এসব পাড়ার বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
এডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।