ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন রোববার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন রোববার  বিডিআর বিদ্রোহ। ফাইল ছবি

ঢাকা: পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে কারাবন্দি শত শত বিডিআর সদস্য, যাদের মামলার চূড়ান্ত শুনানি এখনো শেষ হয়নি। সেই কারাবন্দি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।

 

রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার জেলা জজ আদালত সংলগ্ন কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে দুপুর দেড়টায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে।  

চাপাইনবাবগঞ্জের কারাবন্দি বিডিআর সদস্য মো. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. সাকিব আহম্মেদ বিভিন্ন পরিবারের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।  

পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনায় হওয়া দুই মামলায় আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ জানান, পিলখানা মামলার আসামিদের অবস্থা মানবেতর। ১৩ বছর কারাভোগ করা হয়ে গেছে তাদের। অথচ হত্যা মামলায় ২৭৮ জন খালাস পেয়েছেন। বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে অন্য একটি মামলা ঝুলে থাকায় মূল মামলায় খালাস পেয়েও তারা মুক্তি পাচ্ছেন না। হত্যা মামলারও চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয়নি। সবমিলিয়ে পরিবারগুলো উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।  

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা নারকীয় তাণ্ডব চালায় পিলখানায়। তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। বিডিআর বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও উচ্চ আদালতের মতামতের পর সরকার প্রচলিত আইনেই এর বিচার করে।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে, বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলার সঙ্গে বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝ পথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেনি। একপর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত করে দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
কেআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।