পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে হত্যা মামলার সাক্ষী দেওয়ায় প্রধান আসামি কর্তৃক ওই সাক্ষীকে মারধর করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেঁজুরতলা এলাকায়।
হামলায় আহত মো. মোজাহিদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ওই বাজারের টুটুল হোসেনের কিটনাশক বিক্রির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ সময় স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোয়াজ্জেম হোসেন শিকদার ও তার ছেলে মিমসহ ৮/১০ জনের একটি দল এসে হঠাৎ তার (মোজাহিদ) ওপর হমলা চালায়। এসময় স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে ও ধাওয়া করেন। পরে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আলোচিত ছাত্রদল নেতা মো. শামসুল হক ছোট্ট হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওই মোয়াজ্জেম হোসেন শিকদার। মামলাটি গত ২৯ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) সরেজমিনে তদন্ত করেন। আর এ সময় ওই মামলার ২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে ওই মোজাহিদ সাক্ষ্য দেন। এর জেরে তাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে। তিনি আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম শিকদারের কাছে জানতে তার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি জানান, আমার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে গিয়ে ওই মোজাহিদ তাকে উৎসাহিত করায় সামান্য একটু ঝগড়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীদের ধাওয়া দেওয়ায় কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে নি।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. মাহিদুল ইসলাম এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগ্নে ওই ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামসুল হক ছোট্টকে কুপিয়ে হত্যা করেন প্রতিপক্ষের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা। আর ঘটনাটি ঘটে ওই দিনরাত ৯ টার সময় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর বাড়ির কাছে। নিহত ছাত্রদল নেতা শামসুল হকের ছোট্ট ওই মামলার ২ নম্বর সাক্ষী মো. মোজাহিদুল ইসলামের মামা।
ওই ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম মোজাহিদুলের বড় ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
এনটি