বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক পুকুরে বিভিন্ন দেব-দেবীর ৩৩টি মূর্তি নিয়ে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলার চরডাকাতিয়া এলাকার বিদ্যাপুকুরে শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
মায়ের আঁচল পূজা কমিটির সভাপতি মিলন কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এলাকার ৪২ জন তরুণ সরস্বতী পূজা করে আসছেন। প্রতিবছর ব্যতিক্রমী আয়োজন হওয়ায় বিদ্যাপুকুরের সরস্বতী পূজার সুনাম আশপাশের জেলা-উপজেলা ছড়িয়ে পড়েছে। পূজার দিন হাজার হাজার দর্শণার্থী এ পূজা দেখতে আসেন। আমাদের সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পুকুরের মধ্যে বেদি তৈরি করে বিভিন্ন দেব-দেবীর ৩৩টি মূর্তি দিয়ে পূজার আয়োজন করে। এসব মূর্তির মধ্যে রয়েছে, বিদ্যার দেবী সরস্বতী, রাধা-কৃষ্ণ, শিব, লক্ষ্মী-নারয়ণ, কার্তিক, রাম-সীতা অন্যতম।
পূজার ২ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করি আমরা। মূর্তির কাঠামো তৈরি, রং করাসহ যাবতীয় কাজই আমরা নিজেরাই করি। প্রতিবছরই পূজা উপলক্ষে ৩ দিন ধরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে থাকি আমরা। তবে এ বছর করোনার কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তারপরও প্রচুর পরিমাণ ভক্ত ও দর্শণার্থীরা এসেছেন এখানে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই বাণী অর্চণা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যাপুকুরের সরস্বতী পূজা এলাকার একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। এলকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এ পূজা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চালের অন্যতম বৃহত্তম একটি পূজা হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। এর ফলে, প্রতিবছর এখানে হাজার হাজার দর্শণার্থীরা ভিড় জমান। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখে ভক্ত-দর্শণার্থীরাও খুব খুশি।
পূজা দেখতে আসা দর্শণার্থী শ্রাবনী মণ্ডল, সুবাশ পাইক, হিরকসহ কয়েক জন বলেন, সাধারণ স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাকজমকভাবে সরস্বতী পূজা হয়। কিন্তু ব্যতিক্রম আয়োজন থাকে চিতলমারীতে। তাই আমরা এখানে এসেছি। খুব ভাল লেগেছে আমাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
এনটি