যশোর: দেবরের অপবাদ সইতে না পেরে সালেহা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ নিজের পাঁচ বছরের ছেলে হাসানুর রহমান বান্নার মুখে বিষ ঢেলে নিজেও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মহিলা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন মাকে এবং শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহ ছেলেটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারি) বিষপানের পর মা-ছেলেকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ না থাকায় ফের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। নিহত সালেহা বেগম সদর উপজেলার সাতমাইল তীরেরহাট গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী হাফিজুর রহমানের ছেলে রনি ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় চেঁচামেচি করলে রনি ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরদিন বিষয়টি নিয়ে সালিশ হয়। সেখানে রনি নিজের অপরাধ স্বীকার করলে তাকে জরিমানা করা হয়। পরে দেবর মনিরুজ্জামান মনি ভাবি সালেহা বেগম সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন। এতে অভিমানে তিনি বৃহস্পতিবার পাঁচ বছরের শিশুপুত্র হাসানুর রহমান বান্নাকে ঘাস মারার বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপান করেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পেরে দ্রুত উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওবাইদুল কাদির উজ্জ্বল শিশু ও গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে রেফার্ড করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
ইউজি/এমএমজেড