বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবে নিখোঁজ দুই জেলে মামুন শেখ ও ইসমাইল শেখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুবলার চরের দক্ষিণে জাহাজভাঙ্গা চর এলাকায় দুটি ট্রলারের মধ্য থেকে ওই জেলেদের মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নিখোঁজ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে অভিযান শুরু করে বন বিভাগ, কোস্টগার্ড ও জেলেরা। এ ঘটনায় এখনও অন্তত ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
নিহত মামুন শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার এবং ইসমাইল শেখের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া। মামুন শেখ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে এবং ইসমাইল শেখ এফবি জামিলা নামক ট্রলারে ছিল। হঠাৎ উল্টে যাওয়ায় মামুন ও ইসমাইল ট্রলারের পাটাতনের মধ্যে ঢুকে যায়। পরে আর বের হতে পারেনি।
অন্যদিকে, বিকেলে আবদুল্লাহ, রাজুশেখ, ও ইয়াকুবআলী নামের তিন জেলেকে বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাতের আকস্মিক ঝড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা অধিকাংশ জেলেরাই সাতরিয়ে নিরাপদ স্থানে। তারপরও বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল থেকে জেলে, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলার থেকে মামুন (৪০) ও এফবি জামিলা ট্রলার থেকে ইসমাইলের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জেলেদের মরদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে রওনা দিয়েছেন জেলেরা বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় আরও বলেন, এখনও পাঁচটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। ওইসব ট্রলারেও বেশকিছু জেলে ছিল। তারা আসলে কি অবস্থায় আছে সে বিষয়ে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেরাও নিখোঁজ ওই পাঁচটি ট্রলারের বিষয়ে কোনো কিছু জানাতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
এনটি