পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে একদিন পর ১১ ট্রলারসহ ১৪৪ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও সুন্দরবনের দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে উদ্ধার হয়েছে বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরআগে, শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় ২৫টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৭ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মামুন শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার এবং ইসমাইল শেখের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া।
মামুন শেখ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে এবং ইসমাইল শেখ এফবি জামিলা নামক ট্রলারে ছিল। হঠাৎ উল্টে যাওয়ায় মামুন ও ইসমাইল ট্রলারের পাটাতনের মধ্যে ঢুকে যায়।
শুক্রবার রাতের আকস্মিক ঝড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেলে ট্রলারে থাকা অধিকাংশ জেলেরাই সাতরিয়ে নিরাপদ স্থানে। তারপরও বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল থেকে জেলে, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। উদ্ধারকৃত নিহত দুই জেলের মরদেহ তাদের বাড়িতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনার পর বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে প্রায় শতাধিক ট্রলার উদ্ধারের জন্য সাগরে রয়েছে। এখনো অনেক জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ ট্রলার ও ১৪৪ জেলে উদ্ধার ব্যক্তি উদ্যোগে হতে পারে এ বিষয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এনটি