ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিআরইউতে পীর হাবিবের জানাজা অনুষ্ঠিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
ডিআরইউতে পীর হাবিবের জানাজা অনুষ্ঠিত ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের তৃতীয় নামাজে জানাজা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ডিআরইউ চত্বরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক পীর হাবিবের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, পীর হাবিবের ছেলে ব্যারিস্টার অন্তর, ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরাসহ তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।

ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব বলেন, পীর হাবিব ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠালগ্নের একজন সদস্য। তার এই অকাল মৃত্যু সাংবাদিকতার অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি দেশ ও জাতিকে অনেক দিয়েছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পাশাপাশি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।


দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক পীর হাবিবের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়

সাংবাদিক পীর হাবিবের সন্তান ব্যারিস্টার অন্তর বলেন, দেশবাসীর কাছে বাবার জন্য দোয়া চাই, বাবার লেখায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে মাফ করে দেবেন। বাবা সবসময় গণতন্ত্রের জন্য লিখেছেন। তারপরও লেখনিতে সীমাবদ্ধতা ছিল। তবে তিনি চেষ্টা করেছেন। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, পীর হাবিবুর রহমানের কলাম, সাংবাদিকতা, তার স্টোরি রাইটিং আমাদের মুগ্ধ করেছে বছরের পর বছর। তিনি সবসময় আমাদের স্নেহে রাখতেন, তার একটা রাজনীতি আছে সেটা ছিল তার সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতার মাধ্যমে কীভাবে রাজনীতি করা যায়, নিরপেক্ষ থেকে, মানুষের পক্ষে থেকে তা প্রমাণ করেছেন গত তিন দশকে। তার এভাবে অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য, আমার জন্য, সাংবাদিকতার জন্য এবং দেশের জন্যও একটা বিশাল ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পূরণের নয়।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, একসাথে আমরা কাজ করেছি, দুজন দুই অঙ্গনে আমরা কাজ করেছি, সব বিবেচনায় আমরা আজকে একটি বেদনার দিন পার করছি, সবাই শোকে আচ্ছন্ন। পীর হাবিব একজন খ্যাতমান সাংবাদিক ছিলেন এবং কলাম লেখক ছিলেন, তিনি একজন দেশপ্রেমিক সাংবাদিক ছিলেন, সবসময় তার লেখনির ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তার ছিল গভীর শ্রদ্ধা। আমরা আসলেই এমন একজন মানুষকে হারালাম। তার এই বিদায়ের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পীর হাবিব সাংবাদিক জগতের একজন পথিকৃৎ। তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তিনি আমাদের ছেড়ে এত অকালে যে চলে যাবেন, যুদ্ধ শেষ না করে যে তিনি চলে যাবেন ভাবতেও পারিনি। তিনি ছিলেন কঠিন কলমযোদ্ধা, গণতন্ত্রের জন্য মানুষের জন্য, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য এবং রাষ্ট্রবিরোধীদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার কলমযোদ্ধা। তিনি গণমানুষের পক্ষের মানুষ ছিলেন, তিনি সত্যসন্ধানী ছিলেন।

জানাজা শেষে সাংবাদিক পীর হাবিবের মৃতদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও সিলেট বিভাগের সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

এর আগে তার মরদেহ ডিআরইউতে এসে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সাংবাদিক পীর হাবিবের দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।