ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মস্থলে পীর হাবিবের জানাজা অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
কর্মস্থলে পীর হাবিবের জানাজা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিস প্রাঙ্গণে পীর হাবিবুর রহমানের চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয় | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও খ্যাতিমান কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার প্রিয় কর্মস্থলের দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।

রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিস প্রাঙ্গণে তার চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) তৃতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিস প্রাঙ্গণে পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, ডেইলি সান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, নিউজ২৪, রেডিও ক্যাপিটাল ও টি স্পোর্টসের কর্মীরা।

জানাজায় সাংবাদিক পীর হাবিবের সন্তান ব্যারিস্টার অন্তর বলেন, দেশবাসীর কাছে বাবার জন্য দোয়া চাই, বাবার লেখায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে মাফ করে দেবেন। বাবা সবসময় গণতন্ত্রের জন্য লিখেছেন। তারপরও লেখনিতে সীমাবদ্ধতা ছিল। তবে তিনি চেষ্টা করেছেন। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

কথাসাহিত্যিক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডাব্লিউএমজিএল) পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পীর হাবিব সাংবাদিক জগতের একজন পথিকৃৎ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। সাংবাদিক হিসেবে তিনি যেমন অত্যন্ত জ্ঞানী ছিলেন, ঠিক তেমনি ছিলেন একজন উদার মনের মানুষ। একজন বন্ধু হিসেবে, একজন সহকর্মী হিসেবে তিনি অত্যন্ত দারুণ মানুষ ছিলেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমে তিনি মানুষের পক্ষে থেকে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। তার এভাবে অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য, আমার জন্য, সাংবাদিকতার জন্য এবং দেশের জন্যও একটা বিশাল ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পূরণের নয়।

পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ তাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, জাতীয় পার্টি, আন্তজাতিক ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে, রাবির ব্যাচ ৮৭, আমরা মুক্তিযাদ্ধা সন্তান, বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদ, ফুটবলার কায়সার আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

শনিবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহ। এরপর বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পীর হাবিবুর রহমান।

শনিবার বাদ এশা রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর পার্ক জামে মসজিদে কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বরেণ্য এই সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্টের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ শহরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।