গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খানারপাড় গ্রামের মুদি দোকানি গাউস দাড়িয়া (৪৫) হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারদের রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- একই গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার ছেলে ইস্রাফিল মোল্লা (২২), হাসান উদ্দিন দাড়িয়ার ছেলে আজিজুর দাড়িয়া ওরফে কুটি দাড়িয়া (৫০) ও কামাল দাড়িয়ার ছেলে বজলু দাড়িয়া ওরফে রাজিব (২৩)।
ধারের টাকা চাওয়া, নতুন করে বাকি না দেওয়া এবং লোকজনের মধ্যে বাকির টাকা চেয়ে লজ্জা দেওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে, ০৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নিহাদ আদনান তাইয়ান সংবাদ সম্মেলন করে জানান, নিহত গাউস দাড়িয়া পেশায় একজন মুদি দোকানি ছিলেন। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সামনে দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। গ্রেফতাররা সিগারেট কেনার কথা বলে গাউসকে ঘুম থেকে উঠিয়ে প্রথমে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি নিস্তেজ হয়ে যান। পরে তারা তাকে বাড়ির কাছেই পুকুরপাড়ে নিয়ে ছুরি দিয়ে ৮-৯টি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ পুকুরের মধ্যে ফেলে দেন।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নিহত গাউস গ্রেফতারদের কাছে ধারের টাকা চাওয়া, নতুন করে বাকি না দেওয়া এবং লোকজনের মধ্যে বাকির টাকা চেয়ে লজ্জা দেওয়ার কারণে গ্রেফতারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গ্রেফতাররা পরিকল্পনা অনুসারে ঘটনার দিন রাতে গাউসকে হত্যা করে বাড়িতে চলে যায়। পরের দিন সকালে ইস্রাফিল মোল্লা আত্মগোপন করে। গ্রেফতার অন্য দু’জন আজিজুর ও বজলুকে যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে সেজন্য তারা মরদেহ দাফনে সার্বক্ষণিক সহায়তা করে।
গত ০২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুম থেকে উঠিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি বাড়ির সামনে মুদি দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে হত্যাকারীরা তাকে বাড়ির পাশে পুকুরে মরদেহ ফেলে দেয়। ঘটনার পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয় আত্মীয়-স্বজনরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এসআরএস