গাইবান্ধা: শীতের সময়ের বৃষ্টিতে গাইবান্ধায় সদ্য লাগানো কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। ফলে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাজার-হাজার হেক্টর বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে নিচু জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন রবি শস্যও নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত পানি অপসারণ না হলে ইঞ্জিনচালিত মেশিন দিয়ে সেচ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের কৃষক রাকিব মিয়া (৫৫) বলেন, বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বোরো রোপনের উপযুক্ত সময়। কৃষকরা এখন জমি তৈরি ও রোপনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টি থামে শনিবার রাতে। বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
একই উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের চাপাদহ গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া (৪৫) বলেন, গত সপ্তাহে একবিঘা জমিতে বোরো রোপন করেন। এতে চারা, শ্রমিকসহ খরচ হয় তিন হাজার টাকা। কিন্তু একদিনের বৃষ্টিতে সেই জমি হাটুপানিতে ডুবে গেছে।
সদর উপজেলার ফলিয়া গ্রামের কৃষক রবিন মিয়া (৫৫) বলেন, কৃষকরা বোরো ধানের ওপর নির্ভরশীল। বোরো ধানের চাষাবাদ করে তাদের সংসার চলে। তিনি বলেন, এবার অনেক আশা নিয়ে চারবিঘা জমিতে বোরো রোপন করেন। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে সব জমির ধান তলিয়ে গেছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ হেক্টর।
এসব বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, বৃষ্টিতে বোরো ধান, সরিষা, আলুসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জরিপ না করে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, সরিষা, আলুর কিছুটা ক্ষতি হলেও বোরো ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
এসআইএস