ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে সিকিউরিটি গার্ডের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে সিকিউরিটি গার্ডের অভিযোগ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের জন্য বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের প্রশাসন ও হিসাব বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম হাফিজকে দেওয়া ঘুষের ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে বন্দর ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মহেন্দ্রনাথ রায় নামে এক সিকিউরিটি গার্ড।  

এদিকে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় (ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) লিখিত অভিযোগ করলেও বিষয়টি জানাজানি হয় রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি)।

অভিযোগকারী সিকিউরিটি গার্ড মহেন্দ্রনাথ রায় বর্তমানে চাকরিচ্যুত রয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, স্থলবন্দরে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের সময় বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের প্রশাসন ও হিসাব বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম হাফিজকে গার্ড মহেন্দ্রনাথ ৯ জন সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের জন্য ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন। ওই ৯ জন চাকরিপ্রার্থীরা হচ্ছেন- শ্যামল, রিপন, সাগর, আনিত্য, কৃষ্ণ, শান্ত, সুমন, স্বপন ও আব্দুল করিম। তারা প্রত্যেকে চাকরি পাওয়ার আশায় ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ দিয়েছেন।

অন্যদিকে ল্যান্ড পোর্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সিকিউরিটি গার্ডদের চাকরির কথা বলে তাদের কাছে ঘুষ নিয়েছেন মহেন্দ্রনাথ রায়। মহেন্দ্রনাথ রায় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ জন্য তাকে চাকরিচুত্যও করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী চাকরিচ্যুত গার্ড মহেন্দ্রনাথ রায় বাংলানিউজকে বলেন, গোলাম হাফিজ বিভিন্ন কাজে আমাকে বাড়িতে ডাকতেন। একদিন সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের কথা বলে তিনি বলেন প্রার্থী থাকলে টাকা দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। আমি আমার এলাকার আগ্রহী কিছু ছেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উনাকে দেই। গোলাম হাফিজ আমাকে অফিসের কাউকে না জানিয়ে গোপন রাখতে বলেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষ আমাকে চাকরিচ্যুতির ধমক দিয়ে স্বীকারোক্তি লিখিয়ে নেন। আমি ঘুষের সেই টাকা ফেরত চেয়ে ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেছি। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের হেড অফিসে যাচ্ছি।

অন্যদিকে অভিযুক্ত গোলাম হাফিজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আপনারা সরেজমিনে এসে তদন্ত করে দেখেন।

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের বন্দর ম্যানেজার (পোর্ট ইনচার্জ) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খবর পেয়েছি সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগে মহেন্দ্রনাথ বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আমরা তা নিশ্চিত হয়েছি। এ ব্যাপারে তিনি স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। পরে হঠাৎ করে তিনি বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের এক কর্মকর্তার নামে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছেন। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে এই অভিযোগটি করিয়েছেন মনে হচ্ছে। তারপরও আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।