নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে জহুরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিশেষ অঙ্গ কেটে তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মুন্নী বেগম (২৪) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার জলশুকা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মুন্নী উপজেলার উপলশহর গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী। আর ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মুন্নী ও জহুরুল পূর্বপরিচিত। সোমবার দিনগত রাত ১০টার দিকে মুন্নী মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জহুরুলকে তার বাবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন এবং হত্যার চেষ্টা করেন।
এ অবস্থায় ওই রাতেই জহুরুলকে প্রথমে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় জহুরুলের বাবা বিরাজ উদ্দিন বাদি হয়ে তার ছেলেকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে মুন্নী বেগমকে গ্রেফতার করে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মুন্নী বেগমের মা গুলজান বেওয়া অভিযোগ করে বাংলানিউজে জানান, প্রতিবেশী জহুরুল ইসলাম একজন মাদকাসক্ত। দাম্পত্য কলহের কারণে মুন্নী তার স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে থাকে। এই সুযোগে প্রায়ই তার মেয়েকে বাজে প্রস্তাব দিতো জহুরল। এতে বিরক্ত হয়ে পড়ে মুন্নী।
তিনি জানান, সোমবার রাতে বাড়িতে এসে ফের তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিলে এতে প্রতিবাদ করে মুন্নী। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জহুরুলের বিশেষ অঙ্গে ধারালো ছুরির আঘাত লাগলে তা কেটে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
জেডএ