কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের বামনটারী গ্রামে পুরাতন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হওয়া কষ্টি পাথরের গো-মূর্তিটি উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম নতুন শহরে অবস্থিত উত্তবঙ্গ জাদুঘর চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম আব্রাহাম লিংকনের কাছে মূর্তিটি হস্তান্তর করেন কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আবেদনের প্রেক্ষিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে মূর্তিটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
মূর্তি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল উৎপল কুমার রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) সুমন রেজা, কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ লাল ও কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাড. আহসান হাবীব নীলু, অধ্যাপক নাজমুন নাহার সুইটি প্রমুখ।
মূর্তিটি হস্তান্তরের সময় কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বাংলানিউজকে জানান, কালচে রঙের পাথর খোদাই করা মূর্তিটি একটি মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ। যা এই এলাকার ঐতিহাসিক প্রাচীনত্বের প্রতীক। এটি সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম আব্রাহাম লিংকন বাংলানিউজকে জানান, মূর্তিটি উত্তরবঙ্গ যাদুঘরকে সমৃদ্ধ করবে। এজন্য তিনি পুলিশ বিভাগকে কৃতজ্ঞতা জানান। সেই সঙ্গে কারও কাছে যদি প্রদর্শনযোগ্য প্রাচীন নিদর্শন থাকে তা জাদুঘরে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের মধ্য সুখাতি বামনটারী এলাকায় দু’শ বছর আগের একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মাটির ঢিবি থেকে গো মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। ২০২১ সালের ৯ জুলাই ওই ঢিবির মাটি খননের সময় স্থানীয় অধিবাসী শ্রীধর চন্দ্র বর্মণ ও তার সঙ্গীরা পাথরের তৈরি গো মূর্তিটি পান। পরে তা নিয়ে যায় বিট পুলিশ।
মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ১৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি, মাথার দিকে উচ্চতা ১১ ইঞ্চি, পেছনের দিকে উচ্চতা ৭ দশমিক ৫ ইঞ্চি এবং ওজন ২০ কেজি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
এফইএস/জেডএ