ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় বন্দীদের সুরক্ষায় আবার নতুন করে নির্দেশনা জারি করেছে কারা অধিদপ্তর। এক বন্দী থেকে অন্যদের দূরত্ব অন্তত ১ মিটার বা ৩ ফুট অথবা সম্ভব হলে ২ মিটার বা ৬ ফুট হবে।
সেই সঙ্গে সম্প্রতি কারাগারে আসা বন্দীদের ১৪ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনক্রমেই তাদের কোয়ারেন্টাইন থেকে বের করে উন্মুক্ত স্থানে নেয়া যাবে না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখকরা হয়েছে।
পাশাপাশি বন্দীদের কোন আত্মীয়-স্বজন খাবার নিয়ে আসলে বিনয়ের সঙ্গে বুঝিয়ে প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ভেতরে বন্দী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলকে কোলাকুলি করমর্দন পরিহার করতে হবে।
কারাগারের ভেতরে নানা উদ্যোগ নেওয়াসহ বাইরে থেকে যেন করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হতে না পারে সে জন্য কারাগারে নতুন করে আসা বন্দীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য দেশে করোনার শুরু থেকেই বন্দীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কারা মহাপরির্দশক (আইজি প্রিজন) এ এস এম আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বন্দীদের বাইর থেকে সব ধরনের খাবার দেওয়া বন্ধ থাকবে। তাদের কোন আত্মীয়-স্বজন খাবার নিয়ে আসলে বিনয়ের সঙ্গে বুঝিয়ে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কারাগারে অসুস্থ বন্দীদের অন্তত ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এক বন্দী থেকে অন্যদের দূরত্ব অন্তত ১ মিটার বা ৩ ফুট অথবা সম্ভব হলে ২ মিটার বা ৬ ফুট হবে। সম্প্রতি কারাগারে আসা বন্দীদের ১৪ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনক্রমেই তাদের কোয়ারেন্টাইন থেকে বের করে উন্মুক্ত স্থানে নেওয়া যাবে না।
দেশের সব কারাগার, বিভাগীয় দপ্তর ও কারা অধিদপ্তর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে দাপ্তরিক কার্যক্রম ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি সম্পন্ন করবেন।
এছাড়াও অফিসে ঢোকা এবং অবস্থানকালে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকা সনদ নিতে হবে। টিকা নেওয়া থাকলেও বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে।
কারা অধিদপ্তরের জারিকৃত আদেশে আরও বলা হয়, কারা অভ্যন্তরে বন্দী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই কোলাকুলি, করমর্দন করবেন না। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে। কোনো দর্শনার্থী যেন কারা এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে; কারা ফটকে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া ( ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ) এবং কারো করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাকে দ্রুত আলাদা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড