মেহেরপুর: টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাদল হোসেন (১৩) নামের এক শিশুকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার অভিযোগ তুলেছেন শিশুটির পরিবার।
বর্তমানে বাদল হোসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডের ৫ নম্বর সিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নির্যাতনকারী তারই ফুফাত ভাই একইপাড়ার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে আদম ব্যপারী পলাশ হোসেন (৩০) ও তার মা হামেদা খাতুন।
বাদল হোসেন গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের গাইনপাড়া এলাকার ভাদু হোসেনের ছেলে ও মহ্ম্মদপুর হাজী ভরষ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।
শিশু বাদলের মা আশফিয়ারা খাতুন এ অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার সময় শিশুটিকে তার বাবা-মার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পলাশ হোসেনের নিজ বাড়িতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন।
আশফিয়ারা খাতুন জানান, আমার ননদের ছেলে আদম ব্যাপারী পলাশ হোসেনের ৭ হাজার টাকা হারিয়ে গেছে। বাদল হোসেন সে টাকা চুরি করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ দেয় পলাশ। সকালের দিকে সে জানায় বাদল তার টাকা চুরি করেছে। তাকে আমি জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেবো। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় সে। তাদের বাড়ি নিয়ে গিয়ে বাদলের শার্ট ও প্যান্ট খুলে বিবস্ত্র করে গাছের ডাল দিয়ে পেঁটাতে থাকে। সারা শরীরে পেঁটানোর পর ডালটি ভেঙ্গে যায়।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় বাদলকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি অফিসার ডাক্তার হামিদুল ইসলাম জানান, শিশুটির শরীরে ফোলা জখমের দাগ রয়েছে। তবে বর্তমানে সে আশংকার বাইরে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিশুটির মা আরও জানান, আদম ব্যাপারী পলাশ এর আগে একটি মামলায় জেল খেটে বাড়িতে এসেছে।
এব্যাপারে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০9, ২০২২
এনএইচআর