বগুড়া: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা মাছের জন্য বিখ্যাত। ভোর থেকে দিনব্যাপী মেলার বেশিরভাগ জুড়ে স্থান পায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
এদিকে সেই মাছকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয় বাহারি মিষ্টান্ন সামগ্রী। নাম দেওয়া হয় ‘মাছ মিষ্টি’। বাতাসে ঘ্রাণ ছড়ায় এসব মিষ্টি। মাছের পাশাপাশি এসব মিষ্টান্ন সামগ্রী বেচাবিক্রিতেও বেশ সুনাম রয়েছে এ মেলার। সব পোড়াদহ মেলায় মাছ মিষ্টি এক ভিন্ন আকর্ষণ।
এ মেলায় নিমন্ত্রণে আসা জামাই বাবুরা শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে সাধ্যানুযায়ী পান মোটা অঙ্কের সেলামি। সঙ্গে যুক্ত হয় নিজের জমানো টাকা। এসব টাকায় চলে কেনাকাটার ধুম। তবে কেনাকাটার তালিকায় মাছের পর স্থান পায় রকমারি মিষ্টান্ন সামগ্রী। এর মধ্যে প্রাধান্য পায় মাছের আদলে তৈরি করা ‘মাছ’ মিষ্টি।
বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় আসা জামাই ও স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্য ওঠে আসে।
মেলায় আসা জামাই মীম খান বাংলানিউজকে বলেন, তিনি গাবতলী উপজেলার গোলাবাড়ি এলাকায় বিয়ে করেছেন তিন বছর হচ্ছে। বিয়ের পর থেকেই তিনি নিয়মিতভাবেই মেলা উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি থেকে দাওয়াত পেয়ে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি ১৪ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ সাড়ে ১০ হাজার টাকায় কিনেছেন। পাশাপাশি মাছের সঙ্গে মিল রেখে ৬ কেজি ওজনের একটি ‘মাছ’ মিষ্টি কিনেছেন ১ হাজার ৮০০ টাকায়। মাছ ও মিষ্টি নিয়ে শ্বশুরালয়ে যাবেন তিনি।
মিষ্টি দোকানি বগুড়া গাবতলী উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকার মো. আব্দুল বারী বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আগে থেকেই তারা এ মেলায় আসেন। বাহারি ডিজাইনের মিষ্টান্ন সামগ্রীর আমদানি ঘটান। এবারও তার ব্যতিক্রম করেননি। বিপুল পরিমাণ মিষ্টান্ন সামগ্রী নিয়ে মেলায় এসেছেন। বেচাকেনাও বেশ ভাল।
ছোট-মাঝারি ও বড় আকারের ‘মাছ’ মিষ্টি, লাভ মিষ্টি, কদম মিষ্টি, চমচম, হাসিখুশি, কালোজাম, স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার জিলাপি, জিলাপি, লাড্ডু, মুরিমুরকি, কদমাসহ নানা রকমের মিষ্টান্ন সামগ্রী রয়েছে মেলায় আসা দোকানগুলোতে। এর মধ্যে বড় আকারের মিষ্টি আকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের মিষ্টি ২০০ টাকা কেজি, ছোট আকারের মিষ্টি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
>>> পোড়াদহ মেলায় সকালেই ৮ কোটি টাকার মাছ বিক্রি
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
কেইউএ/এনটি