ঢাকা: এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম প্রোগ্রামের মাধ্যমে আরও ৯৮ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা রওয়ানা দেন।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি প্রথম ব্যাচে ৯২ জন কর্মী কোরিয়াতে যান। আর এটি এ বছরের দ্বিতীয় ব্যাচ।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি কর্মী গ্রহণ স্থগিত করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রবাসীদের গ্রহণ করা শুরু করে। পুনরায় চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ৩৪১ জন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১১১ জন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৩০ জন এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৯৮ জন।
এবার নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া ১০৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪১ জন নতুন নিয়োগ পেয়েছেন এবং বাকি ৬৭ জন পুনঃপ্রবেশ কর্মী। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে ১৩০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের আরেকটি ব্যাচ কোরিয়া যাবে।
কোরিয়া ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কোরিয়ান সরকার ইপিএস কর্মীদের গ্রহণ স্থগিত করেছিল। প্রেরণকারী দেশগুলোর পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে ক্রমাগত অনুরোধগুলো মেনে নিয়ে কোরিয়ান সরকার সীমিত সুযোগে এবং পর্যায়ক্রমে কোভিড-১৯ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাসহ গত বছরের নভেম্বর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ পর্যন্ত ইপিএস পদ্ধতিতে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ৮০.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০৯.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
টিআর/এমআরএ