ঢাকা: যানজট থেকে নাগরিকদের মুক্তি দিতে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ।
বর্তমানে এই প্রকল্পের উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর তোপখানা রোড থেকে পল্টন পর্যন্ত চলাচলের রাস্তা কম ও সরু থাকায় জনদুর্ভোগের শেষ নেই। এই পথে কিছু বহন করা তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের নিচ দিয়ে বাস চলাচলের জন্য যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে সেখানে হেঁটে চলাচল করেছে সাধারণ মানুষ। এতে রয়েছে ঝুঁকিও। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিপজ্জনক ঘটনা।
সেখানে প্রতিটি পিলারের সঙ্গে লাগানো সাইনবোর্ডে সতর্কবার্তা আছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে সাধারণ মানুষ।
উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের পাশের সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষ চলাচল করার কথা থাকলেও ফুটপাতে বসেছে অসংখ্য দোকানপাট। এসব অস্থায়ী দোকানপাটের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে আরও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
আব্দুর রহমান নামে এক দোকানি বাংলানিউজকে বলেন, পেটের দায়ে দোকান করি। দেখছি মানুষের চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কি করবো আমাদের তো পেট চালাতে হবে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে রাস্তার দুই পাশ সরু হয়ে হয়ে যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সংস্থা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে শাহবাগ, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এলাকায় দিনের পর দিন যানজট লেগেই আছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে গর্ত সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিরও যেন শেষ হয় না।
মেট্রোরেল প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কাজ শেষ হলে রাজধানীর যানজট অনেকটাই কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এনএসআর