ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বামীর দেওয়া আগুনে মারা গেলেন সাথী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
স্বামীর দেওয়া আগুনে মারা গেলেন সাথী প্রতীকী ছবি।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথী আক্তার নামে পোশাক কারখানার এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

ওই নারী দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছিলেন।

অবশেষে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে হার মেনেছেন তিনি।  

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন।

তিনি জানান, সাথীর ১৬ শতাংশ পোড়া ছিল। বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সাথীর বড় ভাই সোহেল হোসেন জানান, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের ফেরাজীপাড়া-কাটাখালী এলাকার নিজ বাড়িতে মা ও ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন সাথী। ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে সাথীর সাবেক স্বামী নাঈম ভাঙা জানালা দিয়ে পেট্রোল ছোড়েন ও আগুন ধরিয়ে দেন। এতে সাথীর হাত-মুখ পুড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার অবনতি হলে সাথীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বুধবার মধ্যরাতে হেরে যায় সাথী। হাসপাতাল থেকে দুপুরে সাথীর মরদেহ নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করা হবেন তার স্বজনরা।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নাঈমের ছোড়া পেট্রোলের আগুনে ঝলসে সাথী দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তির পর তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে নাঈমকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি আশরাফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।