দোহার (ঢাকা): ঢাকার দোহারের লটাখোলা এলাকায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলার একদিন পর স্বামী বাহারুল ইসলাম হিরুকে গ্রেফতার পুলিশ।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটকের পর বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্ত্রী নুপুর।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চৌকিঘাটা এলাকার জালাল উদ্দিনের মেয়ে নুপুর সুলতানার বিয়ে হয় একই উপজেলার লটাখোলা এলাকার গুঞ্জর আলীর ছেলে বাহারুল ইসলাম হিরুর সঙ্গে। সে ঘরে বর্তমানে ১৪ বছরের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নুপুর নবাবগঞ্জ উপজেলার কালুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।
বিয়ের পর থেকে নানাভাবে নুপুরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন হিরু। এছাড়া কয়েক দফায় হিরু প্রায় ২০ লাখ টাকা ও যৌতুকসহ ধারদেনা করেন শ্বশুরবাড়ি থেকে। পাশাপাশি পরকিয়ার কথা বলে সারাক্ষণ মানসিক যন্ত্রণা দিতেন নুপুরকে। গত মঙ্গলবার নুপুর তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি এলে একই অযুহাতে তাকে মারধর করে ঘরে থাকা কাচি দিয়ে মাথার সব চুল কেটে দেন হিরু। এক পর্যায়ে নুপুর ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। পরে নুপুরের বাবা তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দোহার থানায় নিয়ে আসেন। পরে নুপুর বাদী হয়ে দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এসএম কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি বাহরুলকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এনটি