ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
মাগুরায় বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা

মাগুরা: মাগুরায় তীব্র শীত ও ঠান্ডার  প্রকোপে বেড়ে  যাওয়া শিশু রোগীদের ডায়রিয়া, কলেরাসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের শুরুতেই মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে শিশু  বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

বুধবার মাগুরা ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসাপতালে শিশু রোগীদের বেড় সংখ্যা মাত্র ১০টি। তাছাড়া নতুন বিল্ডিংয়ের মেঝেতে করা হয়েছে তিনটি সারি, যেখানে মোট ১২টি বেড রয়েছে। তীব্র ঠান্ডা ও শীত অনুভূত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২ থেকে ৩ শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে।

হাসপাতালে শিশু রোগী ওয়ার্ডে বেডে সংখ্যা কম হওয়া নতুন বিল্ডিংয়ের মেঝেতে তিন সারিতে বেড দিয়ে চলতে শিশু রোগীর চিকিৎসা। শিশু ওয়ার্ডে ১০টি বেডে শিশু রোগীর  রয়েছে ৪৭জন। ডাক্তার রয়েছে ২ জন। স্টাফ নার্স রয়েছে ১৮জন।

মাগুরা ভায়না চোপদ্দার পাড়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সুমায়া খতুন (৩০) বলেন, চারদিন হয়েছে বাবুটার শরীরের ডায়রিয়া রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসা চলছে, বর্তমানে বাবু ভাল আছে।

চারদিন হয়েছে মাগুরা সদর উপজেলা বিনোদপুর থেকে শিশু বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সুজন শেখ।

মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিরামতি খানম বলেন, গত কয়েকদিন মাগুরায় প্রচণ্ড ঠান্ডা ও শীত অনুভুত হওয়ায় শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও নিউমনিয়া রোগী সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৪৭জন। সেখানে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ২২ জন। নিউমনিয়া রোগী ২০ জন। অন্য দিকে জ্বর,ঠান্ডাজনিত রোগী রয়েছে। এছাড়া শিশু ওয়াডে নার্স রয়েছে ১৮জন।

মাগুরা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক ডাক্তার জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, শিশুদের সাধারণ শীত ঠান্ডা বেশি পড়লে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কয়েক দিনে ধরে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া, নিউমনিয়া,জ্বর, কাশি রোগী বেড়েছে। হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এ সময় মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুয়াযী ঔষধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছি।

এদিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার এহসান মারুফ বলেন, মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে খাতাকলমে ১০টি বেড দিয়ে চলছে। লোকবল কম থাকায় ২৫০ বেড চালু করতে পারিনি। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নতুন বিল্ডিংয়ের মেঝেতে তিন সারিতে বেড দিয়ে শিশু রোগীর চিকিৎসা চলছে। বতর্মানে হাসাপাতালে সব সেবা চালু রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।