ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গা কারাগারে হত্যা মামলার নারী হাজতির মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
চুয়াডাঙ্গা কারাগারে হত্যা মামলার নারী হাজতির মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের হালিমা খাতুন (৬৫) নামে এক হত্যা মামলার হাজতির মৃত্যু হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই নারী হাজতিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, হালিমা খাতুনের স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক ২০১৬ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি নিজ বসত ঘরে খুন হয়। পরে নিহতের জামাই এমদাদুল হক বাদী হয়ে শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় হালিমা খাতুনকে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। পরে হালিমাকে আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।

জেলা কারাগারের জেলার শওকত হোসেন মিয়া জানান, বিকালে কয়েকজন কয়েদির সঙ্গে মুড়ি খাওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হালিমা খাতুন। এসময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, বিকেলে জেলা কারাগার থেকে এক মহিলা কয়েদিকে জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জেলা কারাগারের চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেল সুপার (অ.দা.) ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার বিএম তারিক উজ-জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।