বরগুনা: বরগুনায় গ্রাম পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু।
আহত গ্রাম পুলিশ হারুন খানের বড় ভাই হানিফ খান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ১৮ জনের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের জাকিরতবক গ্রামের বাচ্চু মৃধা, মাসুম মৃধা ও কবির মৃধাসহ ১৮ থেকে ২০ জনের একটি দল গরু চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ হারুন খান থানা পুলিশকে তথ্য দেওয়ার বিষয়ে সন্দেহ করেন অভিযুক্তরা।
বুধবার বিকেলে ওই অভিযুক্তরা হারুনকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে তার ভাতিজা রুবেল খান চাচাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে এবং পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেয়।
পরে স্থানীয়রা হারুন ও রুবেলকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আহত গ্রাম পুলিশ হারুন খান মুঠোফোনে বলেন, বাচ্চু মৃধা, কবির মৃধা ও মাসুম মৃধাসহ ১৮ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরি ও মাদকের সঙ্গে জড়িত। কে বা কারা পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছে সে জন্য আমাকে সন্দেহ করে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমাকে বাঁচাতে আসায় আমার ভাতিজা রুবেলকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার জড়িত সকলের বিচার চাই।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত বাচ্চু মৃধা ও অন্যান্য অভিযুক্তরাও হামলার কথা অস্বীকার করেন এবং তারা মাদক কারবার ও গরু চুরির সঙ্গে জড়িত না বলেও দাবি করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে বাংলানিউজকে বলেন, আহত গ্রাম পুলিশ হারুন খানের বড় ভাই হানিফ খান বাদী হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি মামলা করেছেন। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এসআইএস