বাগেরহাট: করোনাকালে শিশু পাচার, শিশুর প্রতি যৌন ও শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাল্যবিবাহ ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়েছে শিশুরা।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষিতে শিশু পাচার ও শিশুর প্রতি যৌন শোষণ প্রতিরোধ ও সুরক্ষায় স্থানীয় সরকারের কমিটির প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রয়োগ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদয়ন বাংলাদেশ এবং ইনসিডিন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম খান আলম।
এসময় উদয়ন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শেখ আসাদুজ্জামান, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নীহার রঞ্জন সাহা, অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জী, উদয়ন বাংলাদেশের পরিচালক ইশরাত জাহান, সাবেক শিক্ষক মুখার্জী রবিন্দ্রনাথ, শিক্ষিকা তহমিনা বেগম মিনু, উদয়নের প্রোগাম সমন্বয়কারী রুমকী আক্তার, ফাতেমা আক্তার মুক্তি, মোশারফ হোসেন, বিল্লাল হোসেনসহ বাগেরহাটে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী দেশের জনগোষ্ঠীর শতকরা ৪৫ জন শিশু। সে হিসেবে দেশে শিশুর সংখ্যা আনুমানিক ৬ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা ২৭ ভাগ শহরে ও ৭৩ ভাগ গ্রামে বাস করে। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ সমাজের বিভিন্ন স্থানে দৈহিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়। সেই সঙ্গে বাল্যবিবাহ ও পাচারের মত ভয়াবহ পরিণতিও হয় অনেক শিশুর। ২০১১ সালের প্রণীত শিশু নীতিমালায় শিশুদের মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখা হয়েছে। সরকারি নীতি ও আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ, শিশু শ্রম, যৌন নির্যাতন, শিশু পাচার একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। এই অবস্থার প্রতিকারে সরকারসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা।
এছাড়া শিশু নির্যাতন ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে গণমাধ্যমকর্মীসহ সাধারণ মানুষের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯, ১০৯, ১০৯৮ এর ব্যবহার সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড