ঢাকা: রাজধানীর সবুজবাগে লাবণী আক্তার (৩০) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাবণী পুলিশ কনস্টেবল অভিজিৎ সোহাগের স্ত্রী।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে মাদারটেক চৌরাস্তা পাবনা গলি এলাকার একটি বাসার দরজা ভেঙে লাবণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যার পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অভিজিৎ তার স্ত্রী লাবণীকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন। স্বামী হিন্দু ধর্মাম্বলী হলেও স্ত্রী মুসলমান ছিলেন। পারিবারিক কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
লাবণী খুলনা সদর উপজেলার দক্ষিণ টুটপাড়া গ্রামের মৃত আবুল বাশারের মেয়ে ও অভিজিতের বাড়ি মাদারীপুর। অভিজিৎ ঢাকা জেলায় (মিল ব্যারাক) পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তিনি মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে ঢামেক মর্গে লাবণীর খালাতো ভাই নূর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এক বছর আগে ফেসবুকে মুসলমান পরিচয়ে লাবণীর সঙ্গে সম্পর্ক করেন অভিজিৎ। পরে কোর্টে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন। এরপর পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন।
তিনি জানান, লাবণীর আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে রেহেনা আক্তার নামে ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। তাকে নিয়ে মাদারটেকের বাসায় থাকতো লাবণী। সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
নূর হোসেন জানান, তাদের বাসাও মাদারটেক এলাকায়। শুক্রবার লাবণীর খালা হাসিনা বেগম রাতে ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলেন। লাবণী তখন জানান, স্বামী তাকে মারধর করেছে।
তিনি বলেন, লাবণী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তার ওপর নির্যাতন বেড়ে যায়। অভিজিৎ বাচ্চা নষ্ট করতে চাপ দিতেন। কথা না শুনলে ডিভোর্সের ভয় দেখাতেন। আত্মহত্যা নয়, লাবণীকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
এজেডএস/এনএসআর