রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে চায়না খাতুন (৩০) নামে এক অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
তবে নিহতের স্বজনদের দাবি মাদকাসক্ত স্বামীর অত্যাচারে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী রেজাউল শেখকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া তোরাপ শেখের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ চায়না খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী রেজাউল শেখ (৩৫) বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি স্থানীয় আফসার শেখের ছেলে।
নিহত চায়না খাতুনের বাবা সিরাজ দেওয়ান জানান, ৯ বছর আগে রেজাউলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই রেজাউল আমার মেয়েকে নানা ভাবে অত্যাচার করতো। ঠিকমতো রোজগার করত না। নেশা করাসহ নানা বাজে আড্ডায় লিপ্ত থাকতো। প্রতিদিন অনেক রাত করে বাড়ি ফিরত। আমার মেয়ে ও দুই নাতনির ঠিক মতো ভরণ পোষণ দিত না। প্রায়ই আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিত। সংসারে ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকত। আমি সাধ্যমত চাল-ডাল, টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতাম। গত শুক্রবার রাতে এসব নিয়ে ঝগড়া হলে রেজাউল আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে এবং বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সব জেনে ছুটে এসে আমি মেয়ের মরদেহ দেখতে পাই। আমি ন্যায় বিচার চাই।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। চায়নার স্বামী একজন মাদকাসক্ত বলে জানতে পেরেছি। অভাবের সংসারে ঝগড়া-বিবাদের এক পর্যায়ে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তারপরও প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য ময়না তদন্ত করতে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত স্বামী রেজাউলকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড