ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ সি-উইড উন্নয়নে সরকার বদ্ধ পরিকর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ সি-উইড উন্নয়নে সরকার বদ্ধ পরিকর

কক্সবাজার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ সি-উইড বা শৈবাল উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। সি-উইড উৎপাদন করে এটি ভোক্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা করে তোলা দরকার।

 

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত সি-উইডজাত পণ্য উৎপাদন ও জনপ্রিয়করণ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্রের বিশাল এলাকায় আমাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ বিশাল এলাকা জুড়ে মৎস্য, অপ্রচলিত মৎস্য ও সমুদ্র শৈবাল থেকে শুরু করে সমুদ্রের গভীরে খনিজ সম্পদ রয়েছে। সেই খনিজ সম্পদ আমরা আহরণ করবো। এটি হবে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিনির্মাণের বড় অধ্যায়। সমুদ্রে সি-উইড উৎপাদন যেহেতু সহজতর হচ্ছে সেহেতু গবেষণার মাধ্যমে এটি মানুষের খাদ্যাভাসে নিয়ে আসতে হবে। এটি স্বাদযুক্ত করতে পারলে আরও জনপ্রিয়তা বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নমুখী। সি-উইডের বিষয়টি তার নজরে এলে এটি উন্নতকরণে যা যা সহায়তা দরকার তিনি করবেন। দেশের মানুষকে কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে সি-উইড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

তিনি বলেন, দেশকে একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলে বিদ্রুপ করা হতো। প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য বলে হাসাহাসি করতো। কিন্তু সেই প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেশকে সমৃদ্ধশালী হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছেন। বাংলাদেশ উপকূলে কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, ইনানী, কুতুবদিয়া ও বাঁকখালী নদীর মোহনা এবং পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ সুন্দরবন উপকূলে প্রধানত শীত মৌসুমে সি-উইড সবচেয়ে ভালো জন্মায়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪২ প্রজাতির সি-উইড শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৩ প্রজাতির সি-উইড বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সি-উইডের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অপরিসীম। এতে গুরুত্বপূর্ণ অণুপুষ্টি বিদ্যমান থাকায় রোগ নিরাময়ী পথ্য এবং ওষুধ ও খাদ্য শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি সি-উইড মাছ ও হাঁস-মুরগির সম্পূরক খাবার, জৈব সার, জৈব জ্বালানি, প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে বহুল বহৃত হয়ে থাকে। পুষ্টিমান সি-উইডের ব্যবহার সম্ভাবনার আলোকে কক্সবাজার উপকূলে প্রাপ্য সি-উইডের বিভিন্ন প্রজাতি থেকে বাছাইকৃত সাতটি প্রজাতির সাধারণ পুষ্টিমান ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যামাইনো এসিড ও ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ নিরুপণ করা হয়েছে। সি-উইড উন্নত খাদ্যমান, ঔষধিগুণ ও প্রাকৃতিক মিনারেল সমৃদ্ধ যা মানুষের বুদ্ধিমত্তা বিকাশ, শারীরিক-মানসিক সুস্থতা ও প্রয়োজনীয় অণুপুষ্টি যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিয়মিত ডায়েটে দৈনিক পাঁচ গ্রাম শুকনো সীউইড গ্রহণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য তার দেহের দৈনিক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য যথেষ্ট।  

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল মোস্তফাসহ সি-উইড উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।