পঞ্চগড়: বিশেষ অভিযানে এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অনেক সময় বিভ্রান্তকর অপবাদমূলক পরিবেশের শিকার হতে হয়। আর এই পরিবেশ থেকে পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের শরীরে লাগানো হচ্ছে বডি অন ক্যামেরা।
বিভ্রান্তকর পরিবেশ এড়াতে অভিযানের সময় সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পুলিশ অত্যাধুনিক বডি অন ক্যামেরা শরীরে সংযুক্ত করে রাখবেন বলে জানিয়েছে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
এর আগে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার সময় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বডি অন ক্যামেরা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা, ট্রফিক ইন্সপেক্টর কাজী কামরুল হাসানসহ ট্রাফিক পুলিশ ও সদর থানার পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আরও জানান, পুলিশ সদস্যদের নামে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ করেন অভিযুক্তরা। অনেক সময় পুলিশের অভিযান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। আমি মনে করি এই ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে বিতর্ক কমে যাবে। তাছাড়া অনেক সময় পুলিশের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। পুলিশের শরীরে বডি ক্যামেরা অন থাকলে অভিযানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
জানা যায়, জেলার পাঁচ থানায় ১০টি, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ৬টি এবং পুলিশ সুপার কার্য্যালয়ে দুটি ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছে। পরবর্তীকালে আরও বেশ কিছু ক্যামেরা সংযুক্ত হবে।
পুলিশ বিভাগ আরও জানায়, পুলিশের অভিযান ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের শরীরে থাকবে বডি অন ক্যামেরা। এই ক্যামেরা বিশেষ অভিযান এবং রাস্তার চলাচল জটিলতা নিরসনে ব্যবহার করবে পুলিশ। পুলিশের বিভিন্ন কাজে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে পঞ্চগড় পুলিশ বিভাগ।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়া সেল সদস্য মুশফিকুর রহমান বডি অন ক্যামেরা বিষয়ে বিস্তারিত ব্যবহার সম্পর্কে উপস্থিত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ট্রাফিক সার্জেন্ট ফরিদ হোসেনের শরীরে অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাটি সংযুক্ত করার মাধ্যমে কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
আরএ