ঢাকা: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ফরিদুল ইসলামের (২২) মৃত্যুর ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিএসএফ দাবি করেছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুকুরমারা বিওপির একটি টহল দল ২০-২৫ ভারতীয় চোরাকারবারিকে সীমান্ত নিরাপত্তা বেষ্টনীর আশেপাশে গবাদিপশু নিয়ে যেতে দেখে।
বিএসএফ জানায়, চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে টহল দলের সদস্যরা উভয় পক্ষকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তাতেও না থেমে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে এবং ধারালো অস্ত্র (দা) দেখায়। টহল দলের একজন সদস্য বাংলাদেশের দিক থেকে ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আহত হন। দুর্বৃত্তদের দিকে একটি চিলি গ্রেনেড ছোঁড়া হলেও তাতে কোনো ফল হয়নি। এ সময় একজন বাংলাদেশি পাচারকারী নিরাপত্তা বেষ্টনীতে উঠে বেড়ার ওপরের তার কেটে ফেলার চেষ্টা করে। চোরাকারবারিদের দ্বারা ঘেরাও হয়ে গেছে বুঝতে পেরে অনন্যোপায় হয়ে এবং জীবন ও সম্পদহানি থেকে বাঁচতে, টহল দল বাংলাদেশের দুর্বৃত্তদের বিভ্রান্ত করতে এবং গবাদিপশু পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে তাদের দিকে এক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। গুলি ছুঁড়লে বেড়ার দু’পাশের চোরাকারবারিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। দিনের শুরুতে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে সীমান্ত বেড়ার কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক বাংলাদেশি চোরাকারবারির মরদেহ পাওয়া যায়। তল্লাশি চালিয়ে টহল দল তিনটি গরু, একটি দা, একটি তার কাটার যন্ত্র ও একটি বাঁশের লিভার উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা পুর্ব কাউয়ারচর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
টিআর/আরআইএস