ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে ৪০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
নীলফামারীতে ৪০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট

নীলফামারী: লোকসানের পর এবার বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আশার আলো দেখছে নীলফামারীর ফুল ব্যবসায়ীরা। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের আগ মুহূর্তে দ্বিগুণ বেড়েছে ফুলের দাম।

 

রোববার সকাল থেকে ফুলের দোকানে বিক্রি হচ্ছে নানা জাতের ফুল। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ফুল আমদানি করেছে এখানকার ফুল ব্যবসায়ীরা।
 
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ২০টির মতো ফুলের দোকান রয়েছে। এরমধ্যে নীলফামারী ও সৈয়দপুর শহরে রয়েছে ১৪টি ফুলের দোকান। এসব দোকানে দেশি ও থাই গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা ফুলের পসরা সাজিয়ে বসে আছে ব্যবসায়ীরা। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দ্বিগুণ দরে বিক্রি হচ্ছে ফুল।  

রোববার দুপুরে জেলা শহরের ফুলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দেশি গোলাপ ৩০ টাকা, থাই গোলাপ ৫০ টাকা, গ্লাডিওলাস ২০-২৫ টাকা, রজনীগন্ধা ১৫ টাকা, জারবেরা ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সৈয়দপুর শহরের পাপন ফুল বিতানের মালিক মবিনুল ইসলাম এ্যাপোলো জানান, গত শনিবার থেকে ফুল বিক্রি বেড়েছে। যশোর থেকে আমদানি করা ফুলের পাশাপাশি নিজের বাগানের ফুল রয়েছে তার দোকানে। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি বাজারেও ফুলের দাম বেড়ে গেছে। পঞ্চগড় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে টিউলিপ ফুল। প্রতি পিস টিউলিপ ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে গত দুই বছর থেকে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারিনি। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা কম থাকায় এবারে ফুলের বেচাকেনা ভালো হতে পারে। ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ফুল মজুদ করেছেন। এবারে জেলায় ৪০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

নীলফামারী শহরের পৌর মার্কেটে ফুল কিনতে আসা আনিছুর রহমান জানান, ৫০ টাকা দরে চারটি থাই গোলাপ ও ১৫ টাকা দরে কিছু রজনীগন্ধা কিনেছি। সহধর্মিণী ও সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে আগাম কিনে নিয়ে যাচ্ছি। বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে প্রতিবছরই স্বজনদের ফুল উপহার দিয়ে থাকেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. হোমায়রা মণ্ডল জানান, নীলফামারীর মাটি ফুল চাষাবাদের জন্য উপযোগী। ইতোমধ্যে ফুলের ব্যবসায়ী ও আগ্রহী চাষিদের নিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন ফুলের বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। এরপর ক্ষুদ্র আকারে জেলার সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ফুল চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ফুল চাষাবাদে উদ্যোক্তা তৈরিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে কৃষিবিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। এতে ফুলের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।