ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঝিলংজায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রজেক্ট বন্ধে নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
ঝিলংজায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রজেক্ট বন্ধে নোটিশ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কক্সবাজারের ঝিলংজা মৌজার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট বজায় রাখার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের ঝিলংজায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির সাইদ আহমেদকে ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়ে এ নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

তিনি জানান, ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার-টেকনাফ সী বিচ এলাকার ঝিলংজা মৌজাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এরপর হোটেল মোটেল জোন এলাকার কতিপয় স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা দিলে হোটেল মালিকরা রিট করেন। সেটি খারিজ হয় এবং পাবলিক ট্রাস্ট ঘোষণা করে হাইকোর্ট সমুদ্র সৈকত রক্ষার নির্দেশনা দেন।

পরবর্তীতে আপিল দায়ের হলে তা খারিজ হয় এবং ৩টি রিভিউ পিটিশন দায়ের করলে তাও খারিজ হয়। আপিল বিভাগ রায়ে ঝিলংজা মৌজায় স্থাপিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশও দেন। অপরদিকে ২০১১ সালের ৭ জুন অপর এক রায়ে কক্সবাজার সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট ও সৌন্দর্য্য রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার পরও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সমুদ্র তীরে শত শত কোটি  টাকার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন।

এ বিষয়টি টেলিভিশনে প্রচারিত হলে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি)’ প্রেসিডেন্ট সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় অনুসারে ঝিলংজা মৌজার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট বজায় রাখার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে আদালত অবমাননার নোটিশ দেন।

প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
ইএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।