ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নন। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
শাহরিয়ার আলম জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান শরণার্থী পাওয়ার যোগ্য নন। তিনি সবল ও সামর্থ্যবান একজন ব্যক্তি। এ অবস্থায় কেউ শরণার্থী হলে তাহলে সব অপরাধী তো বিদেশে গিয়ে শরণার্থী হয়ে যাবেন। তাকে ফেরাতে প্রয়োজন হলে আমরা জাতিসংঘের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকার তাকে ফিরিয়ে দিতে রাজি। মালয়েশিয়া বলেনি যে, তাকে ফেরানো যাবে না। এছাড়া মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো বলে আশাবাদী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, খায়রুজ্জামানকে ছাড়াতে তার স্ত্রী আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। সাধারণ একজন খুনীকে রক্ষা করতেও আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। তবে মালয়েশিয়া সরকার নিশ্চয়ই তার আইন অনুযায়ী কাজ করবে।
সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এম খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলা ছিল। তবে সেই মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাকে ওই পদ বাতিল করে, দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর তিনি পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনের বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৩ সালে তিনি আদালতের জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
টিআর/এসআইএস