ঢাকা: আব্দুল মজিদ একজন ইজিবাইক চালক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খোলাবাড়ি থেকে সাদুল্যাপুর বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার কথা বলে তার ইজিবাইকে ওঠেন মিরু মিয়া ও লাজু মিয়া।
এ ঘটনায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং- ০৫) করেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে তদন্তে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরপর ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা থেকে আসামি মো. মিরু মিয়া (২৪), মো. লাজু মিয়া (২৪), সাগর মন্ডল (৪২) ও বেলাল চৌধুরীকে (৪০) গ্রেফতার করে তারা।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গ্রেফতার চার আসামি ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশা ছিনতাইয় চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা গাইবান্ধার আব্দুল মজিদকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনার আগেও বগুড়া, পঞ্চগড়, রংপুর, পাবনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবেশে উঠে ইজিবাইক ছিনতাই করেছে। তারা চালককে জিম্মি করে তার কাছ থেকে ইজিবাইক, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ সব ছিনতাই করতো।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেফতার আসামিরা আব্দুল মজিদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। মিরু মিয়া ও লাজু মিয়া ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খোলাবাড়ি এলাকা থেকে ভুক্তভোগী আব্দুল মজিদের ইজিবাইকে করে সাদুল্যাপুর বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার কথা বলে ওঠেন। তারা সাদুল্যাপুর বাসস্ট্যান্ড পার হয়েও সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল মজিদকে নামিয়ে একবারপুর গ্রামের পরিত্যক্ত ইটভাটার ক্লিনের ভেতর নিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যার পর ইজিবাইকটি নিয়ে দ্রুত বগুড়া শহরে চলে আসেন।
পরে তারা বগুড়া সদর থানার কামারগাড়িস্থ পুকুরপাড় মার্কেটে আসামি মো. সাগর মন্ডলের (৪২) মেসার্স রাফি ভাঙ্গারি দোকানে নগদ ১০ হাজার টাকায় ব্যাটারিবিহীন ইজিবাইকটি এবং বারোপুর বন্দরে বেলাল চৌধুরীর (৪০) নাসিফ ট্রেডার্সে নগদ ২০ হাজার ৭০০ টাকায় ৫টি ব্যাটারি বিক্রি করেন।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এসজেএ/এমএমজেড