ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যেমন ছিল ভালোবাসার বসন্ত উৎসব

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
যেমন ছিল ভালোবাসার বসন্ত উৎসব

বিদায়ী শীতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভোর। অপেক্ষা, সূর্য জেগে উঠার।

সূর্য জেগে উঠলেই পালাবদল হবে বাংলার ষড়ঋতুর। আসবে পহেলা ফাল্গুন। শুরু হবে ঋতুরাজ বসন্ত কালের সূচনা।

বসন্ত হলো ভালোবাসার ঋতু, বসন্ত হলো বাহারি ফুলের ঋতু, বসন্ত মানেই গাছে গাছে কোকিলের ডাক, বসন্ত মানেই মন মাতানো দক্ষিণা বাতাস।

কুয়াশার চাদরকে সরিয়ে সূর্য্যি মামা জেগে উঠতেই বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি,শাড়ী, স্যালোয়ার কামিজ, ফতুয়া পড়ে বিভিন্ন সাজে সব বয়সীরা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে আসতে শুরু করে। উদ্দেশ্য ঋতু রাজ বসন্তকে বরণ করা।

করোনাভাইরাসের মধ্যে গত বছরের মতো এবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ।

সূর্যের আলো কিছুটা ছড়াতেই মূল মঞ্চে দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঋতুরাজ বসন্ত বরণ।

মঞ্চের পাশেই বাসন্তী রঙের শাড়ী পরিহিত দুই কিশোরী হাতে ও খোপায় গাদা ফুল নিয়ে সখিদের সাজিয়ে দিচ্ছেন একে অপরকে।

দলীয় সংগীত শেষ হতেই শুরু হয় ফাগুনের জনপ্রিয় গান।

 "ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান,

তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান”

আমার আপনহারা প্রাণ, আমার বাঁধন-ছেড়া প্রাণ"

গানের তালে তালে শুরু হয় দলীয় নৃত্য।

পুরো মুক্তমঞ্চের সবাই এই গানের সুরে সুরে নিজেরাই গাইছেন। আর নৃত্যটি দেখছেন।

যেদিকে চোখ যায় ছোট বড় সব বয়সী নারীরা বাসন্তী রঙের শাড়ী আর গাদা ফুলের গহনা পড়ে সেজেগুজে  ছবি তুলায় ব্যস্ত। নানা রঙের আবিরে রাঙানো কিশোরীরা।

এদিকে গান নাচ শেষ হলেই মঞ্চ আলোকিত করে কবিতা আবৃত্তি করলেন বিখ্যাত আবৃত্তিকার  ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়।

রাজধানীর বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা একে একে নাচ গান কবিতা আবৃত্তি করেই চলেছে। বেলা বাড়তেই বেড়েছে মানুষের ঢল।

গত দু’বছর ধরে ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন একই দিনে হচ্ছে। তাই  সকাল বেলা বাসন্তী রঙের  শাড়ি, দুপুরের পর থেকে লাল শাড়ি পড়ে মেয়েরা আসতে থাকে। এটাকেই বলে  ভালোবাসার বসন্ত। ”

প্রিয়জনের স্পর্শ পাবার আকুলতা বসন্তে যেন ধরা দেয় ভিন্ন রূপে। তাইতো লাল পাঞ্জাবি এবং লাল শাড়ী পড়ে  ফুল হাতে দেখা যায় প্রেমিক প্রেমিকাদের।

প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে মুখে তুলে খাওয়ায় দিচ্ছে। ভালোবাসা প্রকাশও করছেন অনেক যুগল।

পরিবার পরিজন নিয়েও ফুল হাতে বাসন্তী, লাল শাড়ী, লাল জামাকাপড় পড়ে ঘুরতে দেখা যায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে।

প্রকৃতির রঙ লাগে মানুষের মনেও। ফাগুনের রক্ত রাঙা দিনে বসন্ত বাতাসে মিশে থাকে ভালবাসা। তাইতো ফাগুন বন্দনায় মুখর প্রকৃতি প্রেমীরা। আছে রং, রূপ, রস, লাবণ্য, আছে মাতাল দখিনা সমীরণ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।