ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাজ না করেই আ.লীগ কার্যালয়ের নামে সরকারি বরাদ্দ উত্তোলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
কাজ না করেই আ.লীগ কার্যালয়ের নামে সরকারি বরাদ্দ উত্তোলন

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় মেরামতের জন্য সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচি (কাবিখা) থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩ লাখ টাকা উত্তোলনের ৭ মাস পরও কার্যালয়টি মেরামত হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে সমালোচনা করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন।

কাবিখার বরাদ্দের টাকা প্রদানের নিয়ম চার কিস্তিতে, প্রথম কিস্তি দেওয়ার পর কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে দেওয়ার কথা দ্বিতীয় কিস্তি। কিন্তু আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কাজ শুরু না করেই চারটি কিস্তিতিতে বরাদ্দের পুরোপুরি টাকা উত্তোলনের ঘটনায় এটি দুর্নীতি করে টাকাগুলো আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ মে রাতে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ২০২০-২১ অর্থ বছরের কাবিখার তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মজিদ খান। প্রকল্পের কাজটি শেষ হওয়ার কথা গত বছরের ৩০ জুন। সে সময়ের আগে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু কার্যালয়টি মেরামত হয়নি।


অনুসন্ধানে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চানু লাল কর্মকার প্রকল্প কমিটির সভাপতি। তিনিসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যের স্বাক্ষরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআই) কার্যালয় থেকে গত বছরের ৩০ জুনের মধ্যেই বরাদ্দের ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সেখানে জমা দেওয়া হয়েছে মাস্টার রোল ও বিল-ভাউচার।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার একটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানর বলেন, কাবিখার টাকা দেওয়ার কথা চার কিস্তিতে। এখন দুই কিস্তিতে দেওয়ার একটি নিয়ম হয়েছে। তবে দ্বিতীয় কিস্তি দিতে হবে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে। তা না হলে পিআইও বিল দিতে পারেন না। কিন্তু কাজ শুরুর আগেই চার কিস্তিতে পুরোপুরি টাকা দিয়ে দেওয়া ও সাত মাস পরও কাজ না করার ঘটনায় প্রতীয়মান হয় এটি দুর্নীতি। এই টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা টাকা উত্তোলন করে জমা রেখেছেন। পরবর্তীতে ঘরটি মেরামত করবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রকল্প কমিটির সভাপতি চানু লাল কর্মকার মুঠোফোনে বলেন ‘টাকা নজমুল ভাই’র কাছে জমা আছে। কমিটি গঠনের পর তাদেরকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে’।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।