ঢাকা: রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে বসবাস করেন সুবর্ণা আক্তার। রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি।
গত কয়েক মাস আগে সুবর্ণা বনানী এলাকায় একটি বাসায় কাজ নেয়। ওই বাসায় থাকেন শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর থাকেন। কিছুদিন পর ওই বাসা থেকে স্বর্ণালংকার খোয়া যায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর কড়াইল বস্তি ও শাহাজাদপুর থেকে চোর চক্রের সদস্য সুবর্ণা ও তার সহযোগী রবিনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এসএম রেজাউল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় ৭ ফেব্রুয়ারি বনানী থানায় একটি চুরি মামলা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। গত রোববার রাজধানীর বনানী কড়াইল বস্তি ও শাহজাদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্মী সুবর্ণা আক্তারসহ তার সহযোগী রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার।
এরপর, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরকে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালংকার বুঝিয়ে দেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
তদন্তের বিষয়ে এডিসি এসএম রেজাউল হক বলেন, ২৯ অক্টোবর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত যেকোনো সময় বনানীর ওই বাসা থেকে স্বর্ণের চুড়ি, লকেটসহ বেশ কিছু স্বর্ণালংকার চুরি হয়। রোববার বিকেলে কড়াইল বস্তি থেকে সুবর্ণাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ১ ভরি ৭ আনা ৫ রতির একটি স্বর্ণালংকার ও ১০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পরে সুবর্ণার দেওয়া তথ্যমতে শাহজাদপুরের একতা জুয়েলার্সের রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে গোয়েন্দা এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। সুবর্ণা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিত্তবানদের বাসায় কাজের বুয়া সেজে কাজ করতে যায়। কাজ করার সময়ই স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান সম্পদের প্রতি দৃষ্টি রাখে। কিছু দিন কাজ করার পর সুযোগ বুঝে বাড়ির মালিকের অগোচরে বাসার স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সম্পদ চুরি করে পালিয়ে যায়। পরে চোরাই এসব স্বর্ণালংকার গ্রেফতারকৃত রবিনের কাছে বিক্রি করে দিতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এসজেএ/এসআইএস