ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধে যতগুলো ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনের (নকশা) করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা-২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
এর আগে, ৬৭ জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও সারা দেশে ৬৫৪ জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত সব নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ি ও স্যুভেনিয়র দেওয়া হয়।
মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দেখলেই যেন বোঝা যায় এটি একটি বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। দেশে যত জায়গায় বদ্ধভূমি আছে সব সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যেসব স্থানে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছে সেসব স্থান সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বিশ্বমানের করে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে মানুষ জানতে পারে কীভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছর বাঙালি সংগ্রাম করেছে ও নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে সেই ইতিহাস যেন সবাই জানতে পারেন। ’
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জিয়াউর রহমান শিশুপার্ক তৈরি করেছেন। সেসময় জিয়াউর রহমানকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা, যেখানে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, সেখানে আপনি শিশুপার্ক করছেন। তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, মুসলমানদের পরাজয়ের স্মৃতি রাখতে চাই না। পাকিস্তানের পরাজয় কীভাবে মুসলমানদের পরাজয় হয়? এই ছিল তাদের মানসিকতা। ’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশুপার্ক থাকবে ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো এখানে সংরক্ষিত থাকবে। ’
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাখদুমা নার্গিস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সয়: ১৫০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
এমএমআই/এএটি