ঢাকা: চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা টাকা আদায়ে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়টি মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পুনরায় চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
সম্প্রতি খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রায়হানুল কবীর স্বাক্ষরিত এ চিঠি সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, নিজ নিজ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলার চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা টাকা আদায়ে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়টি তার দপ্তর থেকে মাসভিত্তিক পাঠানো প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের দপ্তর থেকে মাসভিত্তিক পাঠানো প্রতিবেদনে মনিটরিংয়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। ফলে চালকল মালিকদের কাছে সরকারি পাওনা টাকা আদায়ে নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হওয়া যাচ্ছে না। এখন থেকে আলোচ্য বিষয়ে নিজ বিভাগ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে তদারকির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এতে বলা হয়, চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও স্ব স্ব বিভাগের জেলার আদালতে বিচারাধীন চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা টাকা আদায়ের কোন অগ্রগতি নেই। মামলার কার্যক্রম এভাবে চলমান থাকলে অবশিষ্ট সরকারি পাওনা টাকা আদায় দুরূহ হয়ে পড়বে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আদালতে চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলাগুলো নিয়মিতভাবে তদারকির লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিবিড় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদেরকে নির্দেশনা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা লিখিতভাবে মামলা তদারকি কর্মকর্তাকে চলমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেবেন। তদারকি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে বিজ্ঞ সরকারি কৌশলীকে চলমান মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করবেন।
এ বিষয়ে মামলা তদারকি কর্মকর্তা প্রতি মাসেই মামলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর দাখিল করবেন উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, মামলা তদারকিতে শৈথিল্য প্রদর্শন করলে এবং এনিয়ে কোন জটিলতার সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট মামলা তদারকি কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও বিভাগীয় প্রধান হিসাবে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জবাবদিহি করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড