ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

ঢাকা: প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপমহাদেশে গানের মুগ্ধতা ছড়ানোর পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মঙ্গলবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯০ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি রাতে শৌচাগারে পড়ে গিয়ে আঘাত পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরপর বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছিল শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও। তার দুটি ফুসফুসেই সংক্রমণ দেখা দেয় বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল সূত্র।

এ কারণে ওই দিনই তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর দুই দিন আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

তার কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছে কয়েক প্রজন্ম। ৫০ বছরেরও বেশি সময় নানা ভাষার ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। ছবির গানের পাশাপাশি বাংলা আধুনিক গান ও ধ্রুপদী সঙ্গীতেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। হেমন্ত মুখার্জি-সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গানের জুটি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিল এক সময়।

১৯৭১ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ভারত সরকার তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে। আর ২০২২ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন সন্ধ্যা। তার সঙ্গীত শিক্ষার মূল কাণ্ডারি ছিলেন দাদা রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর শিষ্য ছিলেন সন্ধ্যা।

১৯৪৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। কলম্বিয়া থেকে গিরীন চক্রবর্তীর কথায় ও সুরে ‘তুমি ফিরায়ে দিয়াছ’ ও ‘তোমার আকাশে ঝিলমিল করে’ তার প্রথম রেকর্ড করা গান প্রকাশ হয়।

১৯৪৮ সালে প্রথমবার রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গীত পরিচালনায় প্লেব্যাক করেন, ছবির নাম ছিল ‘অঞ্জনগড়’। একই বছরে আরও তিনটি আধুনিক গান রেকর্ড করে সঙ্গীত জগতে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেন সন্ধ্যা।

১৯৫০ সালে মুম্বাই পাড়ি জমান বাংলা মৌলিক আধুনিক গানের সম্রাজ্ঞী সন্ধ্যা। ১৭টি হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক করেন তিনি। শচীন দেববর্মনের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল তার মুম্বাই সফর। শচীন দেববর্মন নিয়ে গেলেও মুম্বাইয়ে প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ হল অনিল বিশ্বাসের সুরে ‘তারানা’ ছবিতে।

>>>আরও পড়ুন: পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখ্যান করলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমইউএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।