ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সবই স্বাভাবিক তবুও বাড়েনি ফেরি, দুর্ভোগ চরমে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
সবই স্বাভাবিক তবুও বাড়েনি ফেরি, দুর্ভোগ চরমে ফেরি সঙ্কটে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে

মাদারীপুর: বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মায় নেই স্রোতের তীব্রতা, নাব্য সঙ্কট বা দিনভর কুয়াশার দৌরাত্ম- এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলেও ফেরি চলাচলের সঙ্কট ঠিকই রয়ে গেছে এই নৌরুটে। ফলে দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি এই রুট ব্যবহারকারীদের।

যানবাহনের চালক এবং যাত্রীরা বলেন, 'এই ফেরিঘাটের দুর্ভোগের কোনো সংজ্ঞা নেই। যাত্রীদের ন্যূনতম মর্যাদা বা গুরুত্ব ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। তবে দুর্ভোগ সয়ে গেছে গায়ে। এখন শুধু পদ্মাসেতু চালুর অপেক্ষায় আছি। '

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই নৌরুটে ৫টি ফেরি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলাচল করছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতার কারণে সেতুর সঙ্গে ফেরির ধাক্কা লাগার পর থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচলে সঙ্কট শুরু হয়। ছোট ছোট ৫টি ফেরি দিয়ে চলছে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার। পণ্য পরিবহন, যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবসহ নানা কারণে চাহিদা থাকলেও বাড়ানো হয়নি ফেরির সংখ্যা।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূ‌ত্রে জানা যায়,  ২০২১ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে কয়েক দফায়  পদ্মাসেতুর তিনটি পিলারে চার বার ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর পাইল ক্যাপ। এ কারণে  সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এ নৌপথে ১৮ আগস্ট দুপুরের পর থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় সীমিত আকারে ফেরি চালু ও বন্ধ করা হয়।

এরপর জাজিরার মাঝিকান্দিতে স্থানান্তর করা হয় ফেরিঘাট। ত‌বে  বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচর জেগে ওঠায় ফেরি চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বিকল্প সেই রুটেও। গত ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে  সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছোট ছোট ৫টি ফেরি দিয়ে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার শুরু করা হয়।

মো. পারভেজ নামের ঢাকাগামী এক যাত্রী জানান, 'চিকিৎসার জন্য পরিবারের এক সদস্যকে গাড়িতে করে ঢাকা নিতে হচ্ছে। ঘাটে এসে সিরিয়ালে পড়ে বিকেল হয়ে যায়। এরপর আর ফেরি চলে না। ঢাকা যেতে পুরো একটি দিন ঘাটেই বসে থাকতে হলো। শত শত কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় এই ফেরিঘাটে। আমাদের এই কষ্ট কে বুঝবে? নদী স্বাভাবিক, তারপরও ফেরি বাড়ানো হয়নি। যাত্রীদের সঙ্গে তারা তামাশা করছে!'

প্রাইভেটকার চালক মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, 'ফেরি চলাচলের নামে গত ৬ মাস ধরে প্রহসন চলছে ঘাটে। টাকা দিলে ঠিকই সিরিয়াল পাওয়া যায়। সেতু চালুর জন্য দিন গুনছি। '

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, 'এখনও স্বল্প সংখ্যক ফেরিই চলছে নৌরুটে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাই ফেরি বাড়ানো হয়নি। রাতে বন্ধ থাকছে এই নৌরুট। '

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘন্টা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।