সিলেট: সিলেটের কৃষি উন্নয়নে ২২৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, ইরিগেশনের জন্য ধানের ফলন বাধাগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, সিলেটে অনাবাদি জমির সংখ্যা বেশি।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের আমানউল্লাহ কনভেনশন হলে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘সিলেট থেকে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি ও বিনিয়োগ বিষযক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও এফবিসিসিআই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. এ মোমেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. তাহমিন আহমদ।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের ৬০-৭০ ভাগ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের আয় না বাড়াতে পারলে, দেশ এগিয়ে যাবে না। তাই কৃষিকে আমরা ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিয়ে এসেছি। বৃহত্তর সিলেটে চা, আনারস, কমলা লেবু এবং সতেজ শাক সবজির ফলন ভালো হয়। এগুলো বিদেশে রফতানি করা যাবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে সম্মেলন করে সিলেটে কী কী উৎপাদন করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করে প্রকল্প হাতে নেব।
এছাড়া প্যাকেজিংয়ের জন্য একমাত্র ওয়্যার হাউস রয়েছে ঢাকার শ্যামপুরে। সিলেট থেকে সেখানে মালামাল নেওয়া কঠিন। তাই সিলেটেও প্যাকিং হাউস ও ল্যাব করে দেওয়া হবে। আপাতত টেম্পোরারি প্যাকিং হাউজ করে দেবার আশ্বাস দেন তিনি।
সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরপুর্তিতে সুখবর হচ্ছে আমেরিকা ও কানাডার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার চুক্তি হয়েছে। যদিও এক লাফে স্বর্গে যেতে পারি না,তারপরও আশায় আছি। সিলেটের বিভিন্ন দাবি পর্যায়ক্রমে পূরণ হবে। শেখ হাসিনা খাঁটি নেতা। তার উছিলায় সিলেটে অনেকগুলো প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ওসমানী বিমানবন্দরও সত্যিকারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি বলেন, বিমানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোনো যাত্রী হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন, সিলেট চেম্বারের সিনিয়রসহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সাবেক সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, চেম্বার পরিচালক হিজকিল গুলজার, দেবাংশু দাস মিটু ও ব্যবসায়ী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম।
আরো উপস্থিত ছিলেন-সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় কৃষি উদ্যোক্ত আব্দুল বাসিত সেলিম, সিকৃবির ইপিডিমিওলজি এন্ড পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাইমুদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, চেম্বার পরিচালক আব্দুর রহমান জামিল, উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়সহ চেম্বার পরিচালকবৃন্দ। এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
এনইউ/এসআইএস