ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রমজান উপলক্ষে চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যসচিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
রমজান উপলক্ষে চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যসচিব রমজান উপলক্ষে চালের দাম বাড়বে না: খাদ্যসচিব।

ঢাকা: রমজান উপলক্ষে চালের দাম বাড়বে না নিশ্চয়তা দিয়েছেন খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। একইসঙ্গে জনস্বার্থে বা ভোক্তাদের খুশি করতে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সরকার সরু চালও আমদানি করবে।

 

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্য সচিবের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

খাদ্য সচিব বলেন, আমাদের অনেক রাইস মিল হয়ে গেছে। আমাদের উৎপাদনও বেশি রাইস মিল বেশি। এখন একজন দরিদ্র ভোক্তার ঘরেও পাঁচ কেজি চাল থাকে। এছাড়া কৃষক ও মিলারদের কাছেও ধান চাল রয়েছে। আমাদের গুদামেও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। উৎপাদনও ব্রেকইভেন পর্যায়ে। আমাদের উদ্বৃত্ত উৎপাদনগুলো যদি কৃষকের ঘরে ও মিলারদের কাছে থাকে তাহলে বাজারে কোথা থেকে আসবে। এজন্য ধানের দাম বেশি। ধানের দাম বেশি বিধায় চালের দাম বেশি।

আসন্ন রমজানে চাল ও সবজির দাম সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে খাদ্যসচিব বলেন, রমজান উপলক্ষে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি যে চালের দাম বাড়বে না। কারণ আমার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে যাবে। ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে। তাহলে আর চালের দাম বাড়বে না রমজানে।

তিনি বলেন, এরপরও যদি আমরা দাম বৃদ্ধির অবস্থা দেখি তাহলে আমরা ওএমএস আরো বাড়িয়ে দেবো। খাদ্যের বিষয়ে সরকারের কৃাপণ্য নেই। এখানে খোলা বাজারে বিক্রয়টা আরো বাড়িয়ে দেবো। আমরা কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দিতে চাই।

চালের দাম বাড়বে না বলতে মোটা চালকে বোঝাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোক্তার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সরু চাল আমদানি করা হবে। তবে এখনই আমদানিতে যাচ্ছি না। কারণ কে বা কারা প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে, দেশে এতো খাদ্য উদ্বৃত্তের কথা বলা হচ্ছে তারপরও আমদানি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক খাদ্য সংস্থা (ইউএসডি) বলেছে, আমাদের উৎপাদন ভালো, তারপরও আমদানি করতে হবে।

তিনি বলেন, আমদানি না করে যদি আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারি তাহলে এটা প্রমাণ করতে পারলাম যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের বর্তমানে ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্য মজুদ রয়েছে। মিলাররা আমাদের কাছে চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। তার মানে মোটা চালের দাম আর বাড়বে না। নতুন ধান আসলে আমরো কমে যাবে। আর সরু চাল শুধু বোরো মৌসুমে আবাদ হয়। আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি বোরো চাল বাজারে চলে আসবে। ফলে চালের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রণালয় রোজার মাসে ও এর আগে থেকে একটি প্রোগ্রাম শুরু করবে। গত বছর সরকার ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছিল সেটা এবছর এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। সরকার চাচ্ছে নিম্ন আয় বা দরিদ্রদের কোনোভাবে যাতে সমস্যা না হয়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মোট ১৯ লাখ ৬৩ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ লাখ ১৫ হাজার টনের বেশি চাল ও গম ২ লাখ ৪৮ হাজার টন। গত বছরের তুলনায় এ বছর মোটা চালের দাম বেড়েছে ১ টাকা, সরু চাল ৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং আটা প্যাকেট ৮ টাকা, খোলা ৩ টাকা ৫০ পয়সা দাম বেড়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
জিসিজি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।