ঢাকা: শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত হলেন সিলেট ও রংপুর বিভাগের ১০ জন আত্মপ্রত্যয়ী এবং সংগ্রামী নারী। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতা স্বর্ণলতা রায় ও রংপুর বিভাগের মোছা. সূর্য বেগমের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষ থেকে অনলাইন সিলেট ও রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি সিলেট বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘তোমরাই বাতিঘর’ সফল নারীদের সম্মাননা স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করেন।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম এবং মো. নিশারুল আরিফ পুলিশ কমিশনার এসএমপি সিলেট।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, দেশের সকল বিভাগ ও জেলায় নারীদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতাবৃদ্ধি, কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল ও ডে-কেয়ার সেন্টারসহ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। জয়িতাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীবান্ধব বিপণী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জায়কার, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যার ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, এই জয়িতারাই সমাজের আলোকিত মানুষ। নারীরা শিক্ষিত হলে ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হলে আলোকিত দেশ ও সমাজ গড়ে ওঠে।
সিলেট বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন—অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সিলেটের স্বর্ণলতা রায়, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী মৌলভবীবাজার জেলার রাশেদা বেগম, সফল জননী ক্যাটাগরিতে মোছা. রহিমুননেছা চৌধুরী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা সিলেটের হোসনে আরা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেট সদরের বিথীকা দত্ত।
এদিন অপর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষ থেকে অনলাইন রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঁয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম।
রংপুর বিভাগের সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন—অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মোছা. সূর্য বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের হাফিজা খাতুন, সফল জননী ক্যাটাগরিতে রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার আলহাজ মোছা. মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর সেবিকা রাণী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় পঞ্চগড় সদরের মোছা. রোকেয়া বেগম।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা রংপুর বিভাগের অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত জয়িতা মোছা. সূর্য বেগমের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ