ঢাকা: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরাতে আইনি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, মালয়েশিয়া আদালতের খবর আমরা পেয়েছি। তবে তাকে ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখবো।
বুধবার মালয়েশিয়ার আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন এম খায়রুজ্জামান। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এক আদেশে এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন। এর একদিন পরেই খায়রুজ্জামান কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন।
সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এম খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলা ছিল। তবে সেই মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
এম খায়রুজ্জামান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তার ওই পদ বাতিল করে তাকে দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর এম খায়রুজ্জামান পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনের বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৩ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন খায়রুজ্জামান
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
টিআর/এমজেএফ