ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগুনে সব হারিয়ে সম্বল খুঁজছেন তারা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
আগুনে সব হারিয়ে সম্বল খুঁজছেন তারা

হবিগঞ্জ: রূপালী সরকারদের ঘরে যা কিছু ছিল সব আগুনে পুড়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, জরুরী কাগজপত্র, খাদ্যদ্রব্যসহ সকল মালামাল।

একটি জিনিসও ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এরপরও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কারটুকু পাওয়ার আশায় দিনভর ছাই কুড়িয়ে দেখলেন রূপালী ও তার ভাই পলাশ। কিন্তু পাননি।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হৃদয়বিদারক এ দৃশ্যটি দেখা যায়, হবিগঞ্জ শহরের গার্ণিং পার্ক এলাকায়। শুধু রূপালীর পরিবারই নয়; অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের সদস্যরা দিনটি পার করেছেন ধ্বংসস্তুপের উপরেই।

আগুনে সবকিছু হারিয়েছেন ভিডিও ক্যামেরাম্যান সুমন রায়। তার ঘরে থাকা নগদ ২১ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড়-চোপড় পুড়ে গেছে। তিনিও স্ত্রীকে নিয়ে দিনভর খুঁজে স্বর্ণালঙ্কারটুকু ফিরে পাননি।

সুমন রায় বলেন, বাসা পুড়ে যাওয়ার পর তার মা ও স্ত্রীকে নিয়ে নিকটাত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। সর্বস্ব পুড়ে যাওয়ায় নতুনভাবে সংসার শুরু করতে হবে। এনিয়ে পুরো পরিবার এখন দিশেহারা।

ক্ষতিগ্রস্ত কাওছার মিয়া জানান, তারও ঘরে থাকা টেলিভিশন, নগদ অর্থসহ সকল মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন নিঃস্ব। এজন্য তারা সকলে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক নারী রান্নাঘরের চুলায় লাকড়ির আগুন দিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৯টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুরুষরা সবাই অস্বচ্ছল শ্রমজীবী। তারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

তবে অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির, জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম।

দমকলবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় হঠাৎ হবিগঞ্জ শহরের গার্ণিং পার্ক এলাকায় গোলাম মোস্তফার কলোনিতে একটি টিনের ঘরে আগুন দেখা গেলে লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আশপাশের ঘরগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ দমকল বাহিনীর ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত পৌনে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে ৯টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে সবকিছু ছাই হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।