রাজশাহী: রাজশাহীতে পানির দাম তিনগুণ বাড়িয়েছে ওয়াসা। এর বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী মহানগর।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে তারা এ প্রতিবাদ করেন। পরে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
তাদের এ দাবি অবিলম্বে না মানা হলে নগরবাসীকে সঙ্গে ওয়াসা ভবন ঘেরাও করার হুমকি দেন দলটির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনার চত্বরে সংক্ষিপ্ত পথসভার আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। পরে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের মাধ্যমে রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম তিনগুণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা, মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে গণশুনানি করে জনমতের ভিত্তিতে পানির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রণোদনা নিয়ে ওয়াসার সেবার মান উন্নয়নের উদ্যোগ অতি দ্রুত গ্রহণ করার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এর আগেও পানির বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল দলটি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মতিন, মনির উদ্দীন পান্না, নাজমুল করিম অপু, মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর সদস্য শাহীনুর বেগম, মোশারোফ হোসেন, জেলা যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য কামরুল হাসান সুমন প্রমুখ।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) পানির দাম তিনগুণ বাড়ায়। বেশি দামে পানি বেচে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছে স্বায়িত্বশাষিত এই প্রতিষ্ঠানটি।
তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালে পানির দাম বাড়ানো হয়েছিল। দেশের অন্য স্থানে পানির মূল্য এর চেয়েও বেশি। তাই উৎপাদন খরচ ও আয় ব্যয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেই পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান সময়ে সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে থাকা একটি অঞ্চল রাজশাহী। এখানকার মানুষের আত্মসামাজিক অবস্থা খুব ভালো নয়। এমন পরিস্থিতিতে কোনোরকম গণশুনানি ও মতামত গ্রহণের বাইরে গিয়ে রাজশাহীতে পানির দাম এক লাফে তিনগুণ বাড়িয়েছে ওয়াসা।
এ নিয়ে বিবৃতি, মানববন্ধনসহ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার পরও ওয়াসা বর্ধিত নতুন মূল্য কার্যকর করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়া এমন বিতর্কিত উদ্যোগে নগরীর জনমনে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। যা অচিরেই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। পানির মান নিয়ে আগে থেকেই মহানগরবাসীর অসন্তোষ ছিল। সেবার মান না বাড়িয়ে ওয়াসার পানির দাম হঠাৎ তিন গুণ বাড়ানো অযৌক্তিক বলছেন মহানগরবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
এসএস/জেএইচটি