ঢাকা: সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ মঞ্জুরি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে কিডনি, ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, হৃদরোগ ও লিভার সিরোসিসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মঞ্জুরি ৪০ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ড. নাহিদ রশীদ স্বাক্ষরিত কল্যাণ তহবিল থেকে সাধারণ চিকিৎসা অনুদান দেওয়া সংক্রান্ত নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কল্যাণ তহবিল থেকে সরকারি ও বোর্ডের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের সাধারণ চিকিৎসা অনুদান দেওয়া হয়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনুদান মঞ্জুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয় ও বিভাগীয় কার্যালয়ে অনুসৃত পদ্ধতি সমরূপ হচ্ছে না। আবার কোনো কোনো বিভাগীয় কার্যালয়ে সহায়ক স্টাফ হিসেবে এ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়।
অনুদান মঞ্জুরির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে রোগভিত্তিক অর্থের হার নির্ধারণ করা যায়। এক্ষেত্রে কিডনি ও ডায়ালাইসিস, ক্যান্সার ও খ্যালাসেমিয়া, হৃদরোগ, স্ট্রোক/লিভার সিরোসিসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মঞ্জুরিকৃত টাকার পরিমাণ ৪০ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিজার অপারেশন/জরায়ু অপারেশন/মূত্রনালী অপারেশন/পাইলস অপারেশন/হারনিয়া অপারেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মঞ্জুরিকৃত টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা।
অ্যাজমা/নিউমোনিয়া/ডায়াবেটিস মেলিটাস/চোখের চিকিসার ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং সর্দি, জ্বর, কাশি/বাতজ্বরের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে রোগের ধরন ও খরচের প্রকৃতি অনুযায়ী কমিটি অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করবে। অনুদান মঞ্জুরির এ হার বাস্তবতার নিরিখে সময় সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
আদেশে মাসিকভিত্তিক পাওয়া আবেদনসমূহ সহায়ক কর্মকর্তা কর্তৃক প্রাথমিকভাবে যাচাই করে পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উপকমিটির সভা অনুষ্ঠান এবং উপকমিটির সভা অনুষ্ঠানের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ইএফটির তালিকা ব্যাংকে পাঠানো নিশ্চিত করে প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করার অনুশাসন প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি