চট্টগ্রাম: রাঙ্গুনিয়া থানার সন্ত্রাস কবলিত সরফভাটা এলাকায় সন্ত্রাস প্রতিরোধে চিরুনি অভিযান (কম্বিং অপারেশন) পরিচালনা শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে (রাঙ্গুনিয়া রাউজান) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সরফভাটার বিভিন্ন গ্রামে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। বহুকাল ধরে স্থানীয় ও প্রবাসীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক মাসিক চাঁদা আদায়, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, হামলা, মারধরসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে তারা। এসব সন্ত্রাসী দলে রয়েছেন তোফায়েল, ওসমান, গলাকাটা কামাল, জামাল, বাইল্যেসহ অনেকেই। যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ডজনখানেক মামলা। পুলিশ এদেরকে গ্রেফতার করলেও জামিন নিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সরফভাটায় সন্ত্রাসীরা গুলিবিদ্ধ করে এবং কুপিয়ে বাবা ও দুই ছেলেকে আহত করার ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। চলমান পুলিশি তৎপরতাকে তারই প্রতিক্রিয়া মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, পুলিশের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। কিন্তু এভাবে বিচ্ছিন্ন অভিযানের চেয়ে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে নিয়মিত ভিত্তিতে এমন অভিযান চালালে এলাকাবাসী উপকৃত হবে। এই মুহূর্তে একটি পুলিশ ক্যাম্প সরফভাটাবাসীর প্রাণের দাবি।
অভিযানের বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীমে বলেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হকের নির্দেশে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করছি। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনমনে নিরাপত্তার দিতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরফভাটায় ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের সদয় বিবেচনায় রয়েছে।
অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মিল্কি ও পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এমআই/টিসি/এসআইএস