ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বইমেলায় বেড়েছে বিক্রি, কমেছে স্বাস্থ্যবিধি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
বইমেলায় বেড়েছে বিক্রি, কমেছে স্বাস্থ্যবিধি সকাল থেকেই বইমেলায় ছিল প্রাণের জোয়ার। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সকাল থেকেই ছিল প্রাণের জোয়ার। এরপর বেলা যত গড়িয়েছে মেলায় ভিড়ও ততে বেড়েছে।

সন্ধ্যা পর্যন্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে বইমেলা। যেদিকে দুচোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। যেন বইয়ের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন তারা।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টিএসসি ও দোয়েল চত্বর থেকে মেলার প্রবেশদ্বার পর্যন্ত ছিল দীর্ঘ লাইন। আর সন্ধ্যার দিকে পা ফেলার জায়গাও ছিল না মেলার দুই প্রাঙ্গণে।

ছুটির দিন উপলক্ষে সকাল থেকেই ছিল ক্রেতাদের ভিড়। দুপুরে ভিড় একটু কমলেও বিকেলে আবার বেড়ে যায়। পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীমুখর হয় বইমেলা প্রাঙ্গণ। যেন প্রাণের ভালোবাসায় বইমেলা একাকার হয়ে গেছে মানুষে মানুষে।

বিকেলে মেলায় এসেছিলেন উত্তরার বাসিন্দা নাসরিন সুলতানা। ছোট্ট ছেলে আর স্বামীর সঙ্গে ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন নিত্য নতুন বই। কথা হলে বলেন, ‘ওর অফিস, তাই সেভাবে সময় পায় না। আজ সময় হয়েছে। তাই চলে আসলাম। খুব ভালো লাগছে। কিছু বইও কিনেছি। আরও বই কিনবো বলে আশা রাখছি। ’ 

আর প্রকাশকরা বলছেন, আজ মেলায় বিক্রি মোটামুটি ভালো। সবাই কি আর বই কেনে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বিক্রেতারা।

মেলা প্রাঙ্গণে কথা প্রকাশ, বিদ্যা প্রকাশ, অবসর প্রকাশনীসহ অন্যান্য প্রকাশকদের মন্তব্যও একই রকম। তারা আশা করছেন এবাবের বইমেলা পুষিয়ে দেবে গতবারের ক্ষতি। তাদের মতে, ফেব্রুয়ারি বইমেলা সবচেয়ে বেশি জমজমাট হয়ে ওঠে ছুটির দিনগুলোতে। এদিনে বইয়ের বেচাকেনাও হয় সর্বোচ্চ।

মেলায় নানা বয়সী মানুষের ভিড় থাকলেও তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলায় এসেছে শিশুরাও। মাথায় ফুলের টায়রা পরা নারী-শিশুরা ঘুরে বেড়াচ্ছে মেলায়। কেউ কেউ পরেছে ভাষা শহীদদের সম্মানে ‘অ আ ক খ’ বর্ণমালা খচিত পোশাকও।

এদিকে, অতিরিক্ত ভিড়ে প্রতিটি প্রবেশ গেটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক নিশ্চিত করে তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় প্রবেশ করলেও প্রাঙ্গণে তা মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক নেই, থাকলেও নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে। একাধিক স্টলের বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। কোনো কোনো স্টলে লেখক মাস্ক ছাড়াই অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। আবার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কোনো কোনো পুলিশ সদস্যকেও মাস্ক নামিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, আমরা শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রীও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি। দর্শনার্থীদেরও এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।